Showing posts with label মন খারাপের দিন গুলো. Show all posts

জীবনে কতো কিছুই না ঘটছে। কিছু ঘটনা আমাদের মন ছুঁয়ে যায়, মনে দাগ কাটে, মন খারাপ করিয়ে দেয়। কখনো কখনো বিনা কারণেই মন খারাপ হয়। বিষন্ন লাগে, উদাস লাগে, শূন্যতা ভর করে মনে। কিছুতেই যেন মন বসতে চায় না কিছুতে। অতি প্রয়োজনীয় কাজও হয়ে যায় অপ্রয়োজনীয়।  এই সময়টায় আমরা কেউ একজনকে খুঁজি মনের অজানতেই। "মন খারাপের সময় কেউ যদি এসে তোমাকে প্রশ্ন করে - "মন খারাপ..?" তাহলে সেই মানুষটাকে চিনে রাখো, খুব ভালো করে চিনে রাখো...।। 

তোমার মন খারাপ থাকা সর্তেও যাকে তুমি মন ভালোর কথা বলে চালিয়ে দিলে, কিন্তু সে তোমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে বুঝে গেলো, তোমার কথা শুনেই বুঝে গেলো তুমি মিথ্যা বলছো। বার বার প্রশ্ন করে জানতে চাচ্ছে- কেন মন খারাপ..? কি হয়েছে..? ইত্যাদি ইত্যাদি...!! এ যেন নাছোড়বান্দা...।। তাহলে এই মানুষটাকে ভালো করে চিনে রাখো, পাড়লে ধরে রাখো।। নিজের কাছে আড়াল করে রাখো...। এই ব্যস্ত জীবনে মানুষ নিজেকেই সময় দিতে পারে না, অথচ সে তোমার মন খারাপের কারণ জানতে চাচ্ছে। তোমাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সত্যিটা বের করতে চাচ্ছে। তোমার মনের কথাটি জানতে চাচ্ছে, তোমার দুঃখের ভাগীদার হতে চাচ্ছে। সেই মানুষটা আর যাই হোক না কেন তোমার জন্য বড় পাওয়া। তোমাকে বুঝতে হবে এই মানুষটির কাছে তুমি কতোটা দামী, তোমার মন ভালো রাখাটা কতোটা গুরত্বপূর্ণ তার কাছে, তুমি কতোটা গুরত্বপূর্ণ তার কাছে। তার অস্তিত্বে যতোটা না সে আছে, তার চেয়ে বেশি তুমি আছো তার অস্তিত্বে মিশে।

মানুষের সুখের ভাগীদার সবাই হতে চায় কিন্তু দুঃখের ভাগীদার কেউ হতে চায় না। ভালো সময়ে বুকে টেনে নিবে কিন্তু খারাপ সময়ে ফিরেও তাঁকাবে না। ভালো সময়ে তোমার পাশে মানুষের অভাব হবে না, কিন্তু খারাপ সময়ে দেখবে কেউ নেই, কিচ্ছু নেই।। একটি খড়খুটোও নেই...।। আনন্দের মাঝে হঠাৎ তোমার চুপ হয়ে বসে যাওয়ার দৃশ্যটা সবাই দেখবে কিন্তু কাছে এসে বিনয়ের সাথে সবাই জিজ্ঞাসা করবে না। কেউ জিজ্ঞাস করবে না- "কি হয়েছে..?" মন খারাপের সময় এই টাইপের প্রশ্নবোধক বাক্য সবার ভাগ্যে জুঁটে না। এই প্রশ্নবোধক বাক্যটি শুনতে ভাগ্য লাগে, কপাল লাগে। যে প্রশ্নটি করে তাকে হারিয়ে যেতে দিয়ো না। তাকে তোমার লাগবে, তোমার মন একমাত্র সেই ভালো করতে পাড়বে। তার প্রয়োজনে নয়, তোমার প্রয়োজনেই তাকে তুমি ধরে রাখো...তাকে হাড়ালে অনেক বড় কিছুই হাড়াবে...।। 

মানুষ নিজের আনন্দের গল্পটা শেয়ার করে যতটা না তৃপ্তি পায়, তার চেয়েও কষ্টের গল্পটা শেয়ার করে বেশি তৃপ্তি পায়। কারণ, দুঃখের গল্পটা কেউ শুনতে চায় না। মানুষ দুঃখ শেয়ার করার সঙ্গী পায় না। দুঃখ শেয়ার করার জন্য খুব কাছের মানুষের দরকার হয়, খুব আপন মানুষের দরকার হয়। এমন একজন যে চুপটি করে বসে মনোযোগ দিয়ে তোমার দুঃখের কথা গুলো শুনবে, তোমার কান্না ভেজা চোখ দু'টো দেখে নিজের চোখ দুটোও অশ্রু সিক্ত করবে। তোমার দুঃখের সঙ্গী হবে...।। 

তোমার জীবনের আনন্দের গল্পগুলো হয়তো অনেকেই জানে, কিন্তু কতজন মানুষ তোমার কষ্টের গল্পটা জানে, তোমার মন খারাপের গল্প টা জানে..?? খোঁজ নিয়ে দেখো যে তোমার কষ্টের গল্পটা জানে সেই তোমার প্রকৃত বন্ধু, প্রকৃত আপনজন, প্রকৃত কাছের মানুষ !!" কেউ তোমার পাশে না থাকলেও হাত বাড়ালেই তাকে কাছে পাবে, কাউকে পাশে না পেলেও সে ঠিকই পাশে থাকবে ছায়ার মতো...।। 


সব কিছু সহ্য করতে পারলেও আমি কষ্ট একদম সহ্য করতে পারি না। আমার যেটা ভালো লাগে না, আমি যেটা চাই না সেটাই আগে হয়। কারো চোখের পানি দেখলেই আমারও চোখে পানি চলে আসে। কারণে অকারণে নিজেই কেঁদে ফেলি। কষ্ট গুলো কেনও এমন..?? কষ্ট গুলো কেনও কষ্ট দেয়। ইদানিং মনে হচ্ছে, আমি কষ্টের বেড়াজালে আটকা পড়েছি। মাঝে মাঝে মনে হয় কষ্টকে ঘিরেই আমি। আবার মনে হয়, আমার সব কিছু ঘিরেই কষ্টরা। কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছি না। কোন কারণ ছাড়াই কিছু ভালো লাগে না, মন খারাপ হয়ে যায়। এই মন খারাপ, ভালো না লাগার কারণ কি...?? লাইফের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালে সত্যি নিজের প্রতি নিজের করুণা হয়। এভাবে সময় গুলো কাটাতে হবে কখনো চিন্তাই করিনি, ভাবনাতেও আসে নি কখনো। কিছু কথা মনে হলে আরও বেশী কষ্ট লাগে। নিজেই নিজের কাছে সান্ত্বনা খুঁজে বেড়াই। কিন্তু সে সান্ত্বনা চোখের জল ফেলেই শেষ হয়, সান্ত্বনা আর খুঁজে পাই না।

ভাবছিলাম লিখব না। কিন্তু মনটা অনেক খারাপ। লিখে যদি মনটা ভালো হয়...সেই কাল থেকে ভীষণ মন খারাপ, অনেক অনেক বেশি। কিন্তু আমার মন খারাপের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। মন খারাপ অথচ কারণ নেই !!! আসলে কারণ নেই তা না, কারণ আছে কিন্তু সে কারণ টা  ভিত্তিহীন, অর্থহীন। কেন এমন হয়...জানি না।।  একটা অর্থহীন সময়, অর্থহীন জীবন, যার কোন কূল খুঁজে পাচ্ছি না।
জীবন যাত্রার পথ পাড়ি দিতে গিয়ে কত কষ্টের মরুভূমি চলতে হয় তার কোন ইয়ত্বা নেই, নেই কোন দিগন্ত। দুঃখ-কষ্টের সীলা জীবনের ক্ষনে ক্ষনে বর্ষিত হয়, কোন সময় হয় মহাপ্লাবন। আর সেই প্লাবন-এ ভেসে যাই অজানা সীমানায়। জীবন একটা চেঁপে রাখা কষ্টের নাম কষ্টে ভরা বুকটা ফেটে যেতে চায়। ভীষণ পানির তৃষ্ণা পায়, ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া মাটির মত। সেই তৃষ্ণা আর মিটে না, তৃষ্ণা ভরা বুকে বেঁচে থেকেও মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হয়।
জীবন যেন কষ্টের এক চিলে কোঠা... যেখানে বসবাস কষ্টের ...শুধু-ই কষ্টের...।।

মন খারাপ থাকলে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু করতে ইচ্ছে হয়। কোনো না কোনো ভাবে এই মন খারপটাকে উপভোগ করতে মন চায়। কেউ গান শোনে, কেউ প্রিয় মানুষটার সাথে কথা বলে, কেউ চুপ করে বসে থাকে, কেউ মুভি দেখে, কেউ চলে যায় রেল লাইনে, কারো বা মন খারাপের বিশেষ স্থানও আছে সেখানে গিয়ে বসে থাকে, কেউ আবার স্মুতি গুলোকে মনে করার চেষ্টা করে, কেউ বাঁশি বাজায়, কেউ গিটার নিয়ে টুংটাং করে, কেউ কেউ তো আবার সেই মন খারাপ নিয়েই কবিতা লেখে, কেউ লেখে ডায়েরী...
কতভাবে মানুষ মন খারাপটাকে উপভোগ করে। কিন্তু এগুলো করে মন ভালো করার জন্য না। মন খারাপটাকে উপভোগ করে আরও মন খারাপ করার জন্য। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির কোনো তুলনা হয় না। কেমন এক অদ্ভুত সৃষ্টি। দেখা যায়না, ছোঁয়া যায় না, অনুভব করা যায় যে মন বলে কিছু আছে। যেই মনের উপর পৃথিবীর সবকিছুই নির্ভর করে আছে। কত সম্পর্ক, কত পরিবার, কত জীবন আকড়ে আছে শুধুই এই মনের কাছে।
আজ খুব বেশি মন খারাপ। তাই এই মন নিয়েই লিখলাম কিছু..।
আমি মন খারাপ হলে গান শুনি, নয়তো আমার প্রিয় একটা জায়গা "পুকুর পাড়" সেখানে গিয়ে বসে থাকি। কিন্তু আজ  কিছুই করতে ইচ্ছা করছে না, কিছুই ভালো লাগতেছে না।
মন খারাপ সে যেনো শেষ হবার নয়...
কালো মেঘের কান্না বৃষ্টি, মন খারাপের বৃষ্টি, চোখের জলের বৃষ্টি...।।

কিছু কিছু সময় অকারনেই যেন মন খারাপ হয়ে যায়, মন খারাপের কারণ খুজে পাই না। আসলে কিছু কিছু মন খারাপের কারণ থাকে না। তবে আমি সব সময়-ই কারন খুজি, যদি পেয়ে যাই…।
আজ সকাল থেকেই ভাবতেছি অনেক কিছু লিখবো কিন্তু কি লিখবো সেটা বুঝতেছি না। বুঝতেছি না বললে ভুল হবে আসলে কি দিয়ে শুরু করবো সেটা বুঝতেছি না। ভাবতেছি অনেক কিছু লিখবো কিন্তু আদৌ লিখতে পারবো কিনা জানি না…হয়তোবা লেখাটা অসমাপ্ত থেকে যাবে। থাক না অসমাপ্ত ক্ষতি কি, হয়তো এক সময় সমাপ্ত হবে।

ছোট্ট এই জীবনে চলার পথে অনেক কিছুই দেখেছি, তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি যেটা চোখে পড়েছে তা হলো মানুষের অভাব, মানুষের চাওয়া। একটা অভাব পূণ হলে আরেকটা অভাব, আরেকটা চাওয়া সামনে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু আমার মাঝে এমন কিছু ঘটে নি, ঘটবেই বা কিভাবে…?? অভাব বোধ করার আগেই তো অভাব পুণ করে দিয়েছে। কিন্তু একটি অভাব কখনই পুণ করেনি। যে অভাবটা আমার জীবন সব চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল কিন্তু আমি পাই নি। এখন প্রযন্ত পাইনি আর এটাও জানি আর কখন পাবোও না।এই অভাবটা আমাকে প্রতিটা মুহুত কূরেকূরে খায়। অভাব পূরণের জন্য চেষ্টা যে করিনি তা কিন্তু নয়। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু …  

কি অভাব সেটাই তো বলা হয় নি। আমার জীবনে একটাই অভাব আর তা হলো বাবা- মা’র সাথে ছোট বেলা থেকে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা কমানো, তাদের একটু কাছাকাছি থাকা। কিন্তু আমি ব্যাথ হয়েছি, অনেক চেষ্টার পরোও ব্যাথ হয়েছি…।। কষ্ট হয় তখন যখন দেখি আমার সামনে অন্য কোন বাবা-মা তার সন্তানের এতোটা কাছাকাছি। সত্যি তখন খুব হিংসে হয়, খুব হিংসে হয়। খুব অভিমান হয় তখন বাবা-মা’র উপর কিন্তু প্রকাশ করতে পারি না, কারো কাছেই বলতে পারি না। আমার বাবা-মা আমাকে অনেক অনেক ভালবাসে কিন্তু কখনো প্রকাশ করে না। এই প্রকাশ করে না দেখেই আমার এতোটা অভিমান তাদের উপর। হুমায়ুন আহম্মেদ তার কোন এক বই এ লিখেছিলঃ "যে ভালবাসা প্রকাশ করতে জানে না, সে ভালবাসতেই জানে না।"

এর পর ভাবলাম বন্ধুদের নিয়ে পুণজীবীত করবো নিজেকে। আমার বন্ধুর সংখা খুব সীমিত, হাতে গোনা দু-এক জন। হাজার বন্ধু দিয়ে কি করবো। বন্ধুর মতো বন্ধু একটি-ই যঠেষ্ট। কিন্তু না পেলাম না নিজেকে পুণজীবীত করতে। যাকে মনের শীষ স্থানে জায়গা দিয়েছি, বন্ধুত্বের সবোচ্চ স্থান দিয়েছি তার কাছে আমি আর দশ টা মানুষের মতই, আর দশ টা বন্ধুর মতই। এখানেও আমি হেরে গেলাম। হেরে গেলাম নিজের কাছে, নিজের বন্ধুত্বের কাছে, নিজের চাওয়ার কাছে।

এখন আমার আর কোন চাওয়া নেই, নেই কোন কিছু পাওয়ার আশা। কারন এগুলো পাওয়ার যোগ্য হয়তো আমি না, হয়তো এগুলো পাওয়ার প্রাপ্প্য আমি না।

এগুলো আমি ভাবতে চাই না। কেন যেন হঠাৎ করেই মনে পরে যায় আর বুকের বাম পাশের চিনচিনে ব্যাথার অনুভূতো হয়। মাঝে মাঝে কেউ এক জনকে পাশে পেতে ইচ্ছে করে। এমন এক জনকে যে আমার অনুভুতি টুকু বুঝবে, আমার না পাওয়া টা পাওয়ায় রুপান্তর করবে। জানি এটা শুধুই আমার কল্পনা, বাস্তবে কোন রুপ নেই এর। কেনই বা বাস্তবে এর রুপ থাকবে…??? কে এতো বড় দায়িত্ব নিবে, কে জেনে শুনে কষ্টের মাঝে আসবে… !!! জ়েনে শুনে কেউ-ই কষ্টের মাঝে আসবে না, কেউ না…

তাই নিজেকে একটা ঘোরের মধ্যে আবদ্ধ করার চেষ্টা করতেছি, নিজেকে একা রাখার চেষ্টা করতেছি, নিজেকে নিজের মাঝে রাখার চেষ্টা করতেছি…।। কষ্ট টুকু না হয় আমারি থাক…  



দেখতে গিয়ে ছিলাম সাগরের বুকে কষ্ট বেশি নাকি আমার বুকে। আমার বুকের তুলনায় সাগরের বুকের কষ্ট কিছুই না। সাগর তার কষ্ট ঢেওয়ে ঢেওয়ে তীরে আছড়ে পরে কমিয়ে নিতে পারে কিন্তু আমি আমার কষ্ট কোন ভাবেই কমিয়ে নিতে পারি না, পারি না কারো কাছে শেয়ার করতে, পারি না কারো কাছে বলতে। কষ্ট গুলো সুধু বাড়তেই থাকে...।। কেন এমন ...??? 

 ফিরতে ইচ্ছা করছে না, যদি সাগরের মাঝে চীরতরে বিলীন হয়ে যেতে পারতাম, শেষ হয়ে যেতে পারতাম। আর যদি না ফিরতাম। চেনা মানুষ দের কাছে আজ আমি বড্ড অচেনা, সেই অচেনা মানুষ দের কাছে আর যেতে চাই না। আমিতো চেনা হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম, তবে কেন আজ অচেনা...??? যদি এখানেই জ়ীবনটা চিরতরে থেমে যেত, যদি চলে যেতাম না ফেরার দেশে... 

 আমার কষ্ট সুধুই আমার...। এই কষ্টের মাঝে বিচরন সুধুই আমার। আমার কোন সঙ্গী নেই, নেই কোন কাধে হাত রাখার মানুষ, হাতে হাত ধরার মানুষ...।। 



নিঃসঙ্গ রাতের বুকে সবাই যখন ঘুমে নিশ্চুপ, 
একলা আমি হতাশার কাফনে জড়িয়ে হিসেব মিলাই জীবনের খাতায়। 
যার প্রতি পাতা জুড়ে আছে শুধু ভুলের সমীকরণ, 
পাওয়া না পাওয়ার দাঁড়িপাল্লায় না পাওয়াটাই পড়ে থাকে সীমাহীন এক শূন্যতায়। 
ঠিক যেন আমার মতো একলা একজন। 
বিষণ্ণতার কবরে শুয়ে আমি অপেক্ষায় থাকি, 
কখন ঘুম পাড়ানি মাসী-পিসী এসে জাদুর কাঠি বুলিয়ে দিবে। 
জীবন যুদ্ধে ক্লান্তি আমার দু'চোখে। 
কখন তলিয়ে যাবো নিঃসীম অন্ধকারে, 
কখন আঁধারের কালো চাদর ঢেকে দিবে
আমার সব ব্যর্থতা..।

এই পৃথিবীতে মন খারাপ করে থাকার ব্যাপারটা ভীষণ অদ্ভুত। হয়ত তুমি কোন এক রাতের আলোয় গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে ভুল কোন পথে চলে যাবে। তুমি বাড়ি ফিরতে দেরি করবে, আর তখন তোমার মন খারাপ করবে। হঠাৎ হয়ত পৃথিবীর রাজ্যের সব জলকণা এসে তোমার দু’চোখে ভর করবে আর তুমি বুঝতে পারবে তুমি ভালো নেই। তোমার ঘরের হলদে বাতি, নীল দেয়াল কিংবা রঙিন পর্দাও তখন তোমার মনকে রাঙাতে পারবে না। প্রতিরাতে তুমি ঘুমাতে যাওয়ার সময় ভাববে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে কিংবা কোন একদিন আর তোমার মন খারাপ হবে না। ছোট্ট বিছানাটায় শুয়ে শুয়ে তুমি ভাববে তোমার অন্ধকার ঘরে হাজার হাজার জোনাকপোকা জ্বলছে। প্রথমে দেখবে একটা দুটো – তারপর দেখবে থোকায় থোকায়। তারপর দেখবে এক আকাশের তারার মত জ্বলজ্বল করছে জোনাকপোকা। তুমি ভাববে তোমার ঘরের মত জোনাকপোকাগুলো তোমার জীবনের আকাশেও রুপালী তারা হয়ে জ্বলবে, কিন্তু তারপরেই তুমি বুঝবে তুমি স্বপ্ন দেখছিলে আর ফের তোমার মন খারাপ হয়ে যাবে।
এই পৃথিবীতে মন খারাপ করে থাকার ব্যাপারটা ভীষণ অদ্ভুত। তুমি যখন দূর্বল থাকবে তখন মানুষ তোমাকে আগাছা ভেবে মাড়িয়ে চলে যাবে, আবার তুমি যখন নিজের শক্তিটুকু নিয়ে উঠে দাঁড়াতে চাইবে তখন তারা তোমাকে হিংসা করবে, তোমাকে মনে করিয়ে দেবে তুমি ক্ষুদ্র, তুমি তুচ্ছ, তোমার মত আগাছার কোন প্রয়োজন নেই, এমনকি কখনো ছিলও না। আবার তুমি যদি খুব অন্যরকম কেউ হও, খুব সাহসী কেউ, যে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে, যে অনেক রাতে হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণ পেলে আনন্দে অভিভূত হয়ে যায়, যে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় তখন মানুষগুলো তোমাকে বোকা বলবে তোমাকে কল্পনাবিলাসী বলে উপেক্ষা করবে আর ভাববে তুমি খুব অহংকারী। এক সময় তোমার নিজেকে নিয়ে খুব ক্লান্ত লাগবে। আর তুমি বুঝবে তোমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছে।
এই পৃথিবীতে মন খারাপ করে থাকার ব্যাপারটা আসলেই ভীষণ অদ্ভুত…



MARI themes

Powered by Blogger.