কেন লিখি...!
ছোটবেলায় অনেক কিছু করতে চাইতাম, পারলে সব করতে চাইতাম। কেবল স্কুলের কোন বিষয়ে কিছু লিখতে বললেই দুনিয়া উল্টে ফেলতাম। লেখার প্রতি কেমন যেন এক চরম বিতৃষ্ণা ছিল সেসময়। কেন এরকম ছিল সেটা সত্যিই আমার জানা নেই। পেনসিল দিলে কলম দিয়ে লিখতে চাইতাম আর কলম দিলে পেন্সিল দিয়ে। পেন্সিল ধরলেই ইঁদুরের মতো শুরু করতাম কামড়ানো। খাতা ভরে আকাআকি করতাম, তবু লিখব না কিছুতেই।
এখন ভাবলেও হাসি পায়। এখন তো লেখা ছাড়া নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। ডান হাতটা একটু ব্যাথা করলে বা কাটলেও রাগ লাগে যদি ল্যাপটপ এর কীবোর্ড ধরতে না পারি। আমার এই ভার্চুয়াল লিখাবন্ধু আমায় কোনো দিন ধোঁকা দেয় না যে...! যেকোনো হাসি–কান্না, ভাল-খারাপ লাগার অনুভুতি, জীবনে যা কিছুই ঘটুক, সব কিছুতে এই ভার্চুয়াল কাগজ–কলম আমার সব সময়ের সঙ্গী।
কেন লিখি...!! প্রশ্নটা একটু বেশ কঠিন আমার কাছে। যেমন কেউ যখন জিজ্ঞেস করলো- কেমন আছেন...? এর উত্তর দায়সারা ভাবে দিলেও সত্যিকার অর্থে কি দিতে পারি...? আসলেই পারা যায় না। প্রতিদিন আমরা এরকম প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি আর নিজেকে প্রশ্ন করছি। এমন তাগিদ বোধ থেকে বলা খুব মুশকিল কেন লিখি। নিজেকে প্রশ্ন করার মতো বলি- "লিখি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য, জীবনের প্রতিটা ধাপ-সময় কোন এক জায়গায় লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য, জীবনকে কিছুটা বোঝার জন্য, জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি গুলো পাঠককে বিলিয়ে দিয়ে নিজেকে মিলিয়ে নেয়া। লেখাকে আনন্দ-দুঃখ সমান ভাবে উপলব্ধি করি। আমার অনুভূতি প্রকাশ না করতে পারলে কষ্ট পাই, সেই প্রকাশের মাধ্যম টাই এই আবোল-তাবোল, অগোছালো কিছু লেখা-লেখি। খুব প্রিয় মানুষটির সাথেও হয়তো মন নিংড়ানো সব কথা বলা যায় না। কথা বলার সময় নিজের সবটা সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে যতোটা না কষ্ট হয় তারচেয়ে বেশি কষ্ট হয় পরবর্তীতে কথা গুলোর ভুল ব্যাখ্যা শুনে। কারো কাছে নিজের খারাপ লাগার সময়টা শেয়ার করে পরবর্তীতে সেই খারাপ সময়ের ভুল ব্যাখ্যার সাথে তীর ছোড়া কথা বেশি কষ্ট দেয়, স্তব্ধ করে দেয়। এটা ভাবতে বাধ্য করে-"নিজের কথা গুলোকে, নিজের মনের ভাবটাকে নিজের মাঝে ধামা চাপা দিলেই হয়তো ভালো হতো।" অর্জিত অভিজ্ঞতা আর অপারগতা এই লেখার মধ্য দিয়েই প্রকাশ করি।
আগে প্রতিদিনের কোনো একটা সময় বের করে ফেলতাম কাজের ফাঁকে। বর্তমান ব্যস্ততা আমাকে এতটাই আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে, চাইলেও মনমতো পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পড়তে পারি না, মনের ভাবটা প্রকাশ করতে পারি না। লিখতে পারি না অনেক কিছুই। ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দিকে তাকালে শুধু আক্ষেপ হয়, হায়, কত পড়া বাকি এখনও!
‘মানুষের চেয়ে কাগজের, লেখার ধৈর্য বেশি’। এর সঙ্গে নিজের কথা যোগ করে বলি, কাগজ - লেখাকে হয়তো মানুষের চেয়ে বিশ্বাসও করা যায় বেশি।
এখন ভাবলেও হাসি পায়। এখন তো লেখা ছাড়া নিজেকে কল্পনাও করতে পারি না। ডান হাতটা একটু ব্যাথা করলে বা কাটলেও রাগ লাগে যদি ল্যাপটপ এর কীবোর্ড ধরতে না পারি। আমার এই ভার্চুয়াল লিখাবন্ধু আমায় কোনো দিন ধোঁকা দেয় না যে...! যেকোনো হাসি–কান্না, ভাল-খারাপ লাগার অনুভুতি, জীবনে যা কিছুই ঘটুক, সব কিছুতে এই ভার্চুয়াল কাগজ–কলম আমার সব সময়ের সঙ্গী।
কেন লিখি...!! প্রশ্নটা একটু বেশ কঠিন আমার কাছে। যেমন কেউ যখন জিজ্ঞেস করলো- কেমন আছেন...? এর উত্তর দায়সারা ভাবে দিলেও সত্যিকার অর্থে কি দিতে পারি...? আসলেই পারা যায় না। প্রতিদিন আমরা এরকম প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি আর নিজেকে প্রশ্ন করছি। এমন তাগিদ বোধ থেকে বলা খুব মুশকিল কেন লিখি। নিজেকে প্রশ্ন করার মতো বলি- "লিখি নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, নিজের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য, জীবনের প্রতিটা ধাপ-সময় কোন এক জায়গায় লিপিবদ্ধ করে রাখার জন্য, জীবনকে কিছুটা বোঝার জন্য, জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি গুলো পাঠককে বিলিয়ে দিয়ে নিজেকে মিলিয়ে নেয়া। লেখাকে আনন্দ-দুঃখ সমান ভাবে উপলব্ধি করি। আমার অনুভূতি প্রকাশ না করতে পারলে কষ্ট পাই, সেই প্রকাশের মাধ্যম টাই এই আবোল-তাবোল, অগোছালো কিছু লেখা-লেখি। খুব প্রিয় মানুষটির সাথেও হয়তো মন নিংড়ানো সব কথা বলা যায় না। কথা বলার সময় নিজের সবটা সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে যতোটা না কষ্ট হয় তারচেয়ে বেশি কষ্ট হয় পরবর্তীতে কথা গুলোর ভুল ব্যাখ্যা শুনে। কারো কাছে নিজের খারাপ লাগার সময়টা শেয়ার করে পরবর্তীতে সেই খারাপ সময়ের ভুল ব্যাখ্যার সাথে তীর ছোড়া কথা বেশি কষ্ট দেয়, স্তব্ধ করে দেয়। এটা ভাবতে বাধ্য করে-"নিজের কথা গুলোকে, নিজের মনের ভাবটাকে নিজের মাঝে ধামা চাপা দিলেই হয়তো ভালো হতো।" অর্জিত অভিজ্ঞতা আর অপারগতা এই লেখার মধ্য দিয়েই প্রকাশ করি।
আগে প্রতিদিনের কোনো একটা সময় বের করে ফেলতাম কাজের ফাঁকে। বর্তমান ব্যস্ততা আমাকে এতটাই আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে, চাইলেও মনমতো পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পড়তে পারি না, মনের ভাবটা প্রকাশ করতে পারি না। লিখতে পারি না অনেক কিছুই। ব্যক্তিগত লাইব্রেরির দিকে তাকালে শুধু আক্ষেপ হয়, হায়, কত পড়া বাকি এখনও!
‘মানুষের চেয়ে কাগজের, লেখার ধৈর্য বেশি’। এর সঙ্গে নিজের কথা যোগ করে বলি, কাগজ - লেখাকে হয়তো মানুষের চেয়ে বিশ্বাসও করা যায় বেশি।