হাত বাঁধা যায়, পা বাঁধা যায় কিন্তু মন বাঁধা যায় না। কাউকে জোর করে ধরে রাখা যায় না। প্রচন্ড শক্ত করে কোন মানুষের হাত ধরার পরেও মানুষটা বদলে যায় একদিন।
এমন ভাবে বদলে যায়, যেন তাকে একদম চেনা যায় না।।  বদলে যাওয়া মানুষটা কাছেই থাকে, কিন্তু তাকে খুব দূরের মনে হয়। দূরের মানুষ কে ঝাপসা লাগে । কাছে থাকা দূরের মানুষটার জন্যও চোখ দুটো যখন তখন ঝাপসা হয়ে যায়।।। লাভ হয় না ... চোখের পানি গালটাই স্পর্শ করে শুধু ... ঐ মানুষটাকে তখন আর স্পর্শ করে না।।
বদলে যাওয়া মানুষ গুলো বুকের ভেতর নতুন একটা দেয়াল বানিয়ে ফেলে ।। পুরনো আবেগ আর অনুভূতি গুলো হাজার চেষ্টা করেও ঐ দেয়াল ডিঙ্গিয়ে যেতে পারে না।।
পুরো পৃথিবী বদলে গেলে, ওটা সহ্য করা যায়, তার সাথে মানিয়ে নেওয়া যায়।। খুব কাছের মানুষটা বদলে গেলে একদম সহ্য করা যায় না । বদলে যাওয়া কাছের মানুষটার সাথে মানিয়ে নেওয়া যায় না।। বরং হুট করে তার দূরের মানুষ হয়ে যাওয়ার নিষ্ঠুরতা টুকু মেনে নিতে হয়,  দাঁতে দাঁত চেপে মেনে নিতে হয়।।।

পৃথিবীতে "নিজে ভালো" থাকতে চাইলে "স্বার্থপর" হয়ে যাও। আর "মানুষের কাছে ভালো হয়ে" থাকতে চাইলে "নিঃস্বার্থ" হও।
নিঃস্বার্থ হয়ে জগতের কাছে "ভালো" থাকা যায় কিন্তু নিজে ভালো থাকা যায় না। হয়তো সবাই তোমার প্রশংসা করে বলবে, "তুমি ভালো"।তুমি সবার জন্য Sacrifice- করে যাবে, সবার মুখে হাসি ফুটিয়ে যাবে, সবার দুঃখে পাশে থাকবে। কিন্তু দিন শেষে, যে যার মত সুখ খুঁজে নিবে, একা তুমিই পড়ে থাকবে। কারণ তুমি "নিঃস্বার্থ"।
"স্বার্থপর" মানুষই তাই ভালো থাকে। জগৎ তাকে "ভালো" বলে না, তাতে তার কিছু যায় আসে না। সে সুখেই থাকে, ঘুরে ঘুরে সে একজন "নিঃস্বার্থ" মানুষের দেখা পায় তার কাছ থেকে সে "সুখ" কুড়ায়। তারপর চলে যায় অন্য কারো কাছে সুখের সন্ধানে ... তার সুখ কুড়ানো চলতে থাকে।
"স্বার্থপর" মানুষ গুলোকে রাগ করে "ধুরন্ধর" বলে ডাকা হয়। "নিঃস্বার্থ" মানুষ গুলোকে আদর করে "বোকা" বলে ডাকা হয়।
পৃথিবীর সব "কষ্ট", "শূন্যতা" আর "একাকীত্ব" নামের অনুভূতি গুলো বোকাদের জন্যই বরাদ্দ। বোকারা এগুলো প্রথমে নিতে চায় না, তাও এগুলো তাদের জোর করে গছিয়ে দেয়া হয়। এগুলোই তাদের উপহার, "নিঃস্বার্থ" হওয়ার উপহার। উপহার ফেরত দিতে হয় না, উপহার ফেরত দেয়া যায় না।
সব ফেরত দিয়ে এখন স্বার্থপর হতে চাই। জানতে ইচ্ছা করে স্বার্থের মাঝে কি আছে...।।

কাউকে ভুলে যাওয়াটা দোষের না। জীবনটা আপনার, হৃদয়টাও আপনার। বুকের ভেতরের প্রতিটা ইঞ্চি ইঞ্চি জায়গাও আপনার, একান্তই আপনার...।। আপনি চাইলেই সেখানে কাউকে জায়গা দিতে পারেন, কাউকে জায়গা নাও দিতে পারেন ।।
আপনি চাইলেই কাউকে মনে রাখতে পারেন, চাইলেই ভুলে যেতে পারেন। চাইলেই আপনি মনের ক্যানভাসে কারো ছবি আঁকতে পারেন, চাইলেই ইরেজার দিয়ে ছবিটা মুছে ফেলতে পারেন। আপনার অধিকার আছে, আপনার হৃদয়ের ভেতরে কাউকে জায়গা দেয়ার অধিকার, আবার ওখান থেকে কাউকে মুছে ফেলার অধিকার।।

কিন্তু ... কারো জীবনে নিজে জায়গা করে নিয়ে সেখান থেকে হুট করে সরে যাওয়ার অধিকার আপনার নেই। কারো জীবনে হাজারটা মনে রাখার মত মূহুর্ত উপহার দিয়ে সেই উপহার কেড়ে নেয়ার অধিকার আপনার নেই। কারো হৃদয়ের ছোট্ট ঘরটা নিজের টুকরো টুকরো স্মৃতি দিয়ে পূর্ণ করে একদিন হুট করে সব কিছু শূন্য করে দেয়ার অধিকার আপনার নেই।।
জীবনটা শুধু "আমি" কিংবা শুধু "তুমি" হলে, অধিকার খাটিয়ে "আমি" হয়ে সরে আসা যায়। কিন্তু "তুমি" আর "আমি" মিলে যখন "আমরা" হয়ে যায়, তখন "আমরা" থেকে "আমি" হয়ে সরে আসাটা ভীষণ অপরাধ।।
যার সরে আসা "আমি" এর মধ্যে কোন অপরাধ বোধ জাগে না, তার কোন বোধই জাগে না। তার বোধ ঘুমিয়ে থাকে। ঘুমাতে পারে না শুধু "তুমি"।। "আমরা" এর অবশিষ্ট টুকরো টুকরো ছিন্ন ভিন্ন অংশ নিয়ে সে অপেক্ষা করে।।
"সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে" - এই মিথ্যে আশ্বাসের সত্যি অপেক্ষা ।।"

ছোট কোন কিছুই ছোট নয় কারন ছোট সব কিছুই বড় কিছুর সৃষ্টি করে। ছোট ছোট কষ্ট গুলোই সব চেয়ে বেশি কষ্ট  দেয়, বেশি কাঁদায়।
কষ্ট পেলে কোন সমস্যা নেই। কষ্টে বুকের ভেতরের অনুভূতি গুলো বরফ হয়ে যায়। তারপর গভীর রাতে সেই বরফ গলে টপ টপ করে গাল বেয়ে পানি পড়ে। শত সহস্র ফোঁটায় ফোঁটায় একদিন পুরো বরফটা গলে যায়। বুকের ভেতর আর কিছু আটকে থাকে না।
রাগ হলে কোন সমস্যা নেই। রাগ বেশিক্ষণ থাকে না । কিছুক্ষণ চিৎকার করলেই কমে যায়। ঝগড়া করলেও কমে যায় ।না হয় দুটো জিনিস ভাংচুরই করতে হয়, রাগের আগুন বেশিক্ষণ জ্বলে না ...।। নিভে যায়...।।

অনুভূতিহীন হয়ে গেলেই সমস্যা, পাথর হয়ে গেলেই সমস্যা। কষ্টের বরফ গলে যায়, দুঃখের মেঘ ঝরে বৃষ্টি নামে, রাগের আগুন নিভে ফাগুন আসে কিন্তু হৃদয়টা পাথর হয়ে গেলে সেই পাথরকে কিছু করা যায় না। পাথর গলে না, পাথর ভাঙলেও টুকরো টুকরো পাথরই হয়। একবার যে হৃদয় পাথর হয়ে গেছে, তাকে আর আগের অবস্থায় ফেরানো যায় না।
কষ্ট দিতে দিতে, যন্ত্রণা দিতে দিতে ভুলেও কারো বুকের ভেতরটাকে পাথর বানিয়ে দিও না। তোমার বানিয়ে দেওয়া পাথর হয়তোবা একদিন তোমাকেই আঘাত করবে। অন্য কোন সময়ে, অন্য কোন ভাবে ... হয়তো ...।।

ছোট থেকে বড় হতে হতে আমাদের অনেকের সাথে পরিচয় হয়, অনেকের সাথে মিশতে হয়। সবাই কাছে থাকে না, পাশে থাকে না। সবাই মনে জায়গাও নেয় না।
তোমার জীবনে যদি "কাছের মানুষ" আর "দূরের মানুষ" - নামের দুইটা আলাদা লিস্ট না থাকে, তাহলে মহা বিপদ। পৃথিবীর সবাইকে একই পাল্লায় মাপাটাই বিশাল ভুল। সবাই তোমার আপন হবে না, সবাইকে আপন করতে গেলে কষ্ট পেতে হয়। আপন করা সম্ভবও না।
পৃথিবীর সবাইকে খুশি রাখার মহান দায়িত্ব নিয়ে তুমি জন্মাও নি। যখন ১০০% চেষ্টা করার পরেও দেখবা কিছু মানুষ তোমার কাজে খুশি হচ্ছে না, তখন খুব বাজে একটা অনুভূতি হবে। নিজ থেকে ঐ বাজে অনুভূতিটা ডেকে না আনাই ভালো।
তার চেয়ে বরং "কাছের মানুষ" - নামের ছোট্ট লিস্টের অল্প কিছু মানুষ নিয়েই ব্যস্ত থাকো, ভালো থাকবে।
তোমার ভালো থাকার জন্য পৃথিবীর সব মানুষ কে দরকার হবে না । অল্প কিছু কাছের মানুষই তোমার জন্য একটা সুন্দর "পৃথিবী" বানিয়ে তোমাকে ভালো রাখবে তারাও ভালো থাকবে তোমার সাথে।।

জীবনে কিছু কিছু জিনিস খুব বেশি দরকার, খুব বেশি প্রয়োজনীয়।
বেশি কিছু না- Life-এ একটা Mind Leader- লাগে, যাকে কিছু বলা লাগবে না। তুমি অভিনয় করে হাসতে থাকলেও যে ঠিকই বুঝে ফেলবে তুমি ভালো নেই , যার কাছে Sympathy- চাইতে হবে না .. চোখের দিকে তাকিয়েই যে খুব যত্ন করে তোমার মাথায় হাত রাখবে।
সব সময় মুখ ফুটে সব বলতে ইচ্ছে হয় না । চোখে ঘুম থাকলেও মাঝে মাঝে চোখ বুজতে ইচ্ছে হয় না । ইচ্ছে গুলো বড্ড অবাধ্য । অবাধ্য ইচ্ছে গুলোকে পোষ মানাতে পারে, এমন কাউকে ভীষণ দরকার জীবনে ।
এমন একটা মানুষ দরকার, যে মানুষটা ইশারা দিলেই তার প্রতিবাদে তোমার বুকের ভেতরে ইচ্ছে গুলো অশান্ত থেকে শান্ত হয়ে যাবে, চুপটি করে বসে থাকবে। ভেতরে ভেতরে সামান্য একটু যন্তনার আগুন জ্বলে উঠলেই মানুষটা তোমায় ছুঁয়ে দিবে, এক অদ্ভূত শীতলতায় তুমি শান্ত হয়ে যাবে ।
পৃথিবীর এক প্রান্তে হয়তো তুমি জ্বলে যাচ্ছো নিরন্তর, অন্য প্রান্তে হয়তো কোন একটা মানুষ একরাশ শীতলতা নিয়ে চুপ করে বসে আছে। দুজন দুজনার থেকে দূরে অথচ দুজনেরই দুজনকে ভীষণ দরকার ।
নিষ্ঠুর পৃথিবী কারো "দরকার" বুঝে না । যদি বুঝতো, তাহলে সে অতটা বড় হতো না । অনেকটা ছোট হয়ে সে দুই প্রান্তের দুটো মানুষ কে মিলিয়ে দিতো, মিলে যেতো দুজন।

"মাঝে মাঝে আমার হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।এমন একটা জায়গায় গিয়ে একদম ঘাপটি মেরে চুপচাপ বসে থাকতে ইচ্ছে করে, যেইখানে কেউ এসে জিজ্ঞেস করবে নাঃ
"কী হইছে ??"
কেউ Care- করলে খুব ভালো লাগে। তবে কখনো কখনো Care-ও সহ্য হয় না। প্রশ্ন শুনতে ইচ্ছে হয় না, উত্তর দিতে ইচ্ছে হয় না । কেমন যেন লাগে, কেমনই যেন...
আমি হারিয়ে যেতে চাই। এমন একটা জায়গায় হারিয়ে যেতে চাই, যেখানে কোন শব্দ থাকবে না । আমার মন খারাপ করা চেহারার দিকে কপাল কুচকিয়ে তাকিয়ে কেউ কিছু সন্দেহ করবে না । কেউ হুদাই এসে ডায়ালগ মারবে নাঃ
"আরেহ,  ঠিক হয়ে যাবে"
"ঠিক হয়ে যাবে" - একটা বিচ্ছিরি রকমের সান্ত্বনা । "Every Time" যার সাথে এরকম হইতেছে, তার জন্য "ঠিক হয়ে যাবে" বলে কিছু নাই দুনিয়ায় ।
দুনিয়ায় এমন কোন জায়গা আসলে নাই । কোন নির্জন দ্বীপ নাই, বিচ্ছিরি সব শহরে দুনিয়া ভরা। সেইসব শহরে মানুষ আর মানুষ শুধু । বাস্তব জগতে মানুষ, ভার্চুয়াল জগতে মানুষ !!

আমার একটা জনমানব শূন্য দ্বীপ দরকার। অনেক গাছ দিয়ে ঘেরা একটা বন দরকার । এমন একটা নদীর তীর দরকার যেইখানে বাতাসের শো শো শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নাই। আকাশ থেকে সূর্যটা টুপ করে নদীর ভেতর ডুবে যাবে । আমি মুগ্ধ হয়ে দেখবো ...

আমার একটা সবুজ ঘাস দিয়ে সাজানো মাঠ দরকার , সেই মাঠে শুয়ে আমি পরম শান্তিতে চোখ বুজবো। যখন চোখ মেলবো, আমার চোখের সামনে হাজার হাজার তারা জ্বলজ্বল করবে। আমি সেই তারাদের মাঝে হারিয়ে যাবো ।
আমার একটা চুপচাপ জগত দরকার, যেই জগতে আমি হারিয়ে যাবো । ঘন্টাখানেক চুপ করে বসে থাকবো, খুব বেশি দরকার হলে, একা একা কথা বলবো । আমিই বলবো, আমিই শুনবো ... আর কেউ না ... আর কাউকে দরকার নাই ।
ঘুড়ি হয়ে সব সময় উড়তে ইচ্ছা করে না । মাঝে মাঝে সুতো ছিঁড়ে দূরে কোথাও পড়ে থাকতে ইচ্ছা হয় । এমন একটা জায়গায়, যেখানে ঘুড়িটাকে কেউ খুঁজে পাবে না...।।

জীবনে অনেক কিছুই ঘটে। জীবনের রুপ রেখা নানা ভাবে পরিবর্তন হয়।
"একের পর এক কথার ফুলঝুড়িতে যে ছেলেটা সবাইকে মাতিয়ে রাখতো সারাদিন, হুট করে একদিন সেই ছেলেটা কেন চুপচাপ হয়ে গেলো - ভুলেও তাকে এই প্রশ্ন করতে যেও না কখনো। তার কাছে তোমার প্রশ্নের কোন উত্তর নেই !!
হাসিখুশি মুখটার দিকে খুব মনোযোগ দিয়ে তাকালে যদি তার চোখের ভেতর বিষণ্ণতা দেখতে পাও, প্লিজ খোঁচাখুঁচি করতে যেও না । তার লুকিয়ে রাখা বিষণ্ণতার গল্পের কোন ভাষা নেই ।।
কোন কোন কষ্ট তোমাকে ঝরঝর করে কাঁদাবে ... কোন কোন কষ্ট তোমাকে ভয়াবহ রকমের চুপচাপ বানিয়ে ফেলবে ... কোন কোন কষ্ট তোমাকে অভিনয় করতে শেখাবে ... কোন কোন কষ্ট তোমার ভেতরটাকে খুব যত্ন করে পাথর বানিয়ে দিবে ।।
এই কষ্ট গুলোকে তুমি ব্যাখ্যা করতে পারবে না । তোমার ভেতরটা পুড়তে থাকবে, তোমার গলার ভেতর একটা চিৎকার আটকে থাকবে । কিন্তু তুমি কিছু বলতে পারবে না , কোন প্রশ্নের উত্তর তুমি দিতে পারবে না ।।
জমাট বাঁধা কষ্ট গুলো খুব গোপনে মানুষ কে এলোমেলো করে দেয় । এলোমেলো মানুষ গুলো সবকিছু শুধুই টের পায়, কিছু বলতে পারে না ।।
কষ্ট নামের অনুভূতিটাকে শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায় না ।। কষ্টের গল্পটা লেখা থাকে শব্দহীন চিৎকারের ভেতর, কিংবা নরম গালের উপর চোখের পানির স্বচ্ছ অক্ষরে ।।"

অনেক ভিন্ন একটা সকাল হওয়ার কথা ছিল আজ, অনেকটা নতুন। মনের আকাশটা ঝলমলে হওয়ার কথা ছিল। ঘন কুয়াশা পেরিয়ে একচিলটি মিষ্টি রৌদ্দু উঠার কথা ছিল। কথা ছিল নতুন উদ্যমে জাগার, নতুন ভাবে বাঁচার। বাঁচার আগ্রহটা নতুন করে ফিরে পওয়ার। কিন্তু তা হয় নি...
সকালটা সেই পুরোনই রয়ে গেছে, নতুন করে শুধু বুকের চিনচিনে ব্যাথাটা বেড়েছে। মনের আকাশটা ঘন কালো মেঘ থেকে আরো বেশি মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়ে অঝর ধারায় ঝরছে, আজ বৃষ্টি পড়তে পড়তেও অনেকটা ক্লান্ত হয়ে থেমে গেছে। কুয়াশাটা আরো কুয়াচ্ছান্ন হয়ে আমার আমিকে বিলীন করে দিয়েছে । নিয়ে গিয়েছে আমার অস্তিত্ব, আমার অনুভুতি।
কি ক্ষতি হতো যদি ভিন্ন একটা সকাল হতো, নতুন একটা ভোর...??? কি ক্ষতি হতো যদি মনের আকাশটা ঝলমলে করে উঠতো...??? কি ক্ষতি হতো যদি কুয়াশাটা পেরিয়ে যেতো...???

অনেক কস্ট হচ্ছে আমার। একি...!! কি বলছি এসব ? সপ্নহীন মানুষের আবার কস্ট হয় নাকি...?? হঠাৎ করেই চারিপাশ এতো নিরব কেনো লাগছে ..??
এতই নিরব যে একটা পিন এর আওায়াজও আমার কানে এসে লাগলে আমার মাথা টা ছিরে যাচ্ছে এমনটা মনে হচ্ছে।দেয়ালে কি ঘড়ি আছে..? ? তাহলে ঘরির কাঁটার শব্দ শুনছি আমি এতো জোরে জোরে..?? না..!! আমার নিঃশ্বাসের শব্দ.. !! আরে নিশ্বাসের শব্দ কিভাবে শুনবো...?? আমি কি বেঁচে আছি..? ? আওায়াজ টা অনেক বেশী কষ্ট দিচ্ছে।

আমার চোখ দিয়ে রক্ত বইছে, কাঁদতে পারছিনা আমি। কেনো এমন হয়..?? সপ্নহীন হয়েও সপ্নহীন টাকে গুছিয়ে নিয়েছিলাম আমি। কিন্তু সে সপ্নহীনটাও আজ বড় অচেনা লাগছে...!! নিজেকে চিনতে পারছিনা আমি। অশ্মরীর কান্না দেখেছো কখনো...?? কখনো কোন সপ্নহীন বালকের হাহাকার শুনেছো কান পেতে...?? পারবেনা শুনতে... সে ক্ষমতা তোমাদের নেই......।।

আমি কোনো অনুভুতি পাচ্ছিনা কেনো আজ। এতদিন তবু অনুভুতি ছিলো । তাহলে কি অনুভুতি শুন্য হয়ে গেলাম...?? এ জন্যই কি অচেনা লাগছে সব কিছু...?? সব কিছু ঘোলাটে লাগছে। সপ্নহীনতার কষ্ট টা অনেক বেশী তীক্ষ্ণ।

একটা তীক্ষ্ণ সুই এর মত করে মাথার মধ্যে কিছু একটা খুব বেশী কষ্ট দিচ্ছে। কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি কিন্তু কোনো অনুভুতি হচ্ছেনা। এ আবার কোন রুপ..??? সব কিছু ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে... চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে...।

 কষ্ট পাচ্ছি শুধু একটি তীক্ষ্ণ সুইয়ের মত শব্দ খুব বাজে ভাবে মাথায় আক্রমন করছে। কানে হাত দিয়েও আওয়াজ টা থামাতে পারছিনা অথচ প্রথমেই বলেছি আমার রাজ্যটা আজ অনেক নীরব। শুধু এই আওয়াজ টা থেমে গেলেই হয়তো  শান্তি না থাকলেও চোখটা বুঝতে পারতাম আর মুক্তি মিলতো আমার। চির মুক্তি ...

আমি এক পথহারা পথিক, জীবন পথের ঠিকানা হারিয়ে ছুটে বেড়াই দিক-বিদিক। ছুটতে ছুটতে আজ হঠাৎ করে এসে পড়েছি এক অচিনপুরে লোকালয় ছেড়ে অনেক দূরে। অজানা পথে হাটছি দিক বিদিক। জোছনা রাতের তারকারাজি শুধু আমায় পথ দেখায়, ঝিকিমিকি তারার আলোয় মনটা শুধু হারিয়ে যায়। তারা গুলোও আজ নেই আকাশে, থমকে আছি তাই পথের বাকে। আজ আকাশে তারা গুলো নেই। নেই জোছনায় তারার খেলা। রূপালী আলোয় আকাশটা আর ছড়ায়না আর রঙের মেলা। আচমকা এক হঠাৎ ঝড়ে পথটা যে আজ বড়ই অচেনা, দিকহারা এক পথিক আমি খুঁজে ফিরি তাই পথের ঠিকানা।।

MARI themes

Powered by Blogger.