Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

মনটাকে কতো ভাবে ভুলিয়ে রাখা যায় আর...?? সে বোকা হলেও এতো বোকা কি..?? যে শত কষ্ট গোপন করেও হাসি মুখে সব ভুলিয়ে দেবে। সব হাসির আড়াল হতে একবারের জন্য হলেও কিন্তু উকি দিয়েই যায় বেদনার কাব্য গুলো।
সব কষ্টের রং এক না, সকলের কষ্টও এক না। কষ্ট ব্যাক্তি  ভেদে ভিন্ন, ব্যাক্তির মতই ভিন্ন। সব কষ্ট প্রকাশ করাও যায় না, প্রকাশ করার ভঙ্গিটাও ভিন্ন। ভিন্নতার মাঝে আরও ভিন্ন। কষ্ট গুলো কেউই কখনো কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না। প্রকাশ করলেও তা হয়তো শুধু প্রকাশ করাতেই সীমাবদ্ধ, তা বোঝার ক্ষমতা কারো নেই। এই প্রকাশের পরিমাণ কষ্টের তুলনায় হাজার গুণ কম।আমার মতো অনেকের এমন মানুষটিও নেই যার কাছে কষ্ট শেয়ার করে একটু হালকা হবে। তাদের দমবন্ধ হওয়া আত্নচিৎকার মনের মাঝেই সীমাবদ্ধ, মনের মাঝেই বাড়তে থাকে।

মানুষ যাকে সব চেয়ে বেশি ভালবাসে তার প্রতি অভিমানটাও একটু বেশিই থাকে। "বাবা'র" প্রতি অনেক বেশি অভিমান আমার সেই ছোট বেলা থেকেই, অনেক বেশি।এই অভিমানটা যে কতোটা কষ্ট দেয়, কতোটা কাঁদায় ক্ষণে ক্ষণে তা আমি জানি। এই অভিমানের কষ্ট গুলো কারো কাছে বলে যে একটু হালকা হবো সে সুযোগ-টাও আমার নেই। পাশে এমন কেউ নেই যাকে বলে কিছুটা হালকা হবো। কাকে বলবো...?? কে শুনবে...??!!! তাই ব্লগ-এ লিখে কিছুটা মিথ্যে হালকা হওয়ার অভিনয় মাত্র।।

মাঝে মাঝে খুব Jealous feel-হয় অন্য কারো বাবার সাথে তার সন্তানের সম্পর্ক দেখে, Understanding-দেখে। কতো ভালোই না তাদের সাথে সম্পর্ক, কতো ভালোই না তাদের Understanding. একটা দিনের কথা আমি কখনোই ভুলতে পারিনা, অনেক চেষ্টা করেছি ভুলে যাওয়ার কারণ এই ভুলতে না পারাটা অনেক বেশি কষ্ট দেয় আমায়। একটু খুলেই বলি...আমার অনেক কাছের এক বন্ধুকে Airport-এ তুলে দিয়ে ফেরার পথে তার এক Uncle- আর  তার Cousin-এর সাথে আমার  Flat-এ ফিরছিলাম।এমন সময় ঐ Uncle-টা তার ছেলেকে বলতেছে "তা বাবা বাহিরে আসলাম চা খাওয়াও, চা তুমিই খাওয়াও বিলটা আমিই দিবোনি চিন্তা করো না"। এই বলে হেসে দিলো, সাথে আমরাও হাসলাম। আমি অবাগ হয়ে শুনতে ছিলাম। এমন ভাবে শুনছিলাম মনে হচ্ছিল পৃথিবীর ৮ত্ম আশ্চর্য জিনিস ঘটছে। কারণ আমার সাথে আজ পযন্ত এমন ঘটে নি। এমনকি আজ পযন্ত বাবার সামনে বসে এক গ্লাস পানি পযন্ত খেয়ে দেখিনি। বাবার সাথে আড্ডা দিবোতো দুরের কথা, এখন পযন্ত আমার এই বয়সে বাবার সামনে চেয়ারে বসে দেখিনি।ঢাকা এসেছি আজ প্রায় ৩.৫ বছর হতে চললো। এই ৩.৫ বছরে বাবার সাথে ফোনে কথা হয়েছে সব মিলিয়ে ৪-৫ বার। বাড়িতে যখন যাই তখন যে দিন যাই, আর যে দিন চলে আসি এই দু'দিন বাদে আর হয়তো এক বা দু'দিন দেখা হয় কিন্তু আমরা একই ছাদের নিছে।
আমার ঢাকার একটা Friend-কে দেখি তার বাবা তাকে দিনে ২-৩ বার Call- না দিলে সে তার বাবার সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয়। কি মধুর সে ঝগড়া, কি মায়া ভরা সে অভিমান গুলো।
এগুলো দেখে মাঝে মাঝে অনেক বেশি  Jealous feel- হয়, অনেক বেশি খারাপ লাগে। আমার সাথেও তো এমন হতে পারতো, আমার দিন গুলোও তো এভাবে কাটতে পারতো। কিন্তু তা হয় নি।বাবার সাথে কখনো আড্ডা দেওয়া হয় নি, হয়নি রাজাদের গল্প শুনতে শুনতে ঘুম পারা, হয়নি হাত ধরে কিছুটা পথ চলা। অনেক কিছুই হয়নি, শূন্য রয়ে গেছে। শূন্যতার দিক থেকে পূর্ণ আমি।
বাবা কোন দিক থেকে অভাব রাখে নি, কিন্তু যা সব চেয়ে বেশি দরকার ছিল জীবনে সেটারই অভাব রেখে দিয়েছে।
তাই বলে কি বাবা আমাকে ভালবাসে না...!!!?? বাসে, অনেক বেশি ভালবাসে কিন্তু তা কখনোই প্রকাশ করেনি। যে ভালবাসা প্রকাশিত নয়, সে ভালোবাসার কোন মূল্য নেই।  
সব অভিমানে ভরা কষ্ট গুলোর কথা বাবার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে ইচ্ছা করে, হয়তো এই দিনটা কখনোই আসবে না। বলা হবে না কখনো, প্রকাশিত হবে না কষ্ট গুলো, বাবাকে জানানো হবে না অভিমানের কষ্ট গুলো।।

মাঝে মাঝে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছে করে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে কাউকে ভালবেসে কিছুটা কষ্ট ভুলে থাকি। আবার, ভয় হয় এটা ভেবে যদি তার কাছ থেকে আরও বেশি কষ্ট পাই। সে যদি আমার অনুভূতি গুলো না বোঝে, আমাকে না বোঝে, আমার মন না বোঝে।তখন আর সহ্য করার শেষ শক্তিটাও থাকবে না। তাই হয়তো - "একলা আমি, একলা আমার মন, একলা থাকি সারাক্ষণ।।"

কান্নার রং কি ছোঁয়া যায়...?? চোখের জলের হয় না কোন রং, তবু চোখের জল দেখা যায়। কিন্তু যে অশ্রু ধারা ঝরে যায় হৃদয়ের গভীরে তা কি দেখা যায়...?? না দেখানো যায়। সেই জলে শুধু ডুবে থাকতে হয় নীল বেদনার গোপন কষ্টের অনুভূতি গুলো নিয়ে। আর এই রকম অনুভূতি’কে কি মন খারাপ বলা যায়...?? না যায় না। আমাদের মনটা সহজে বুঝতে দেয় না। কিন্তু মাঝে মাঝে এই মনও বড় অবুঝ হয়ে যায়, সব ভুলে গিয়ে অবুঝ হয়ে ভুলিয়ে রাখা এই মনটাকে নিমিষেই খারাপ করে দেয়, খুব খারাপ। খুব কাঁদায়, খুব...।।

আসলে সব মানুষেরই মন খারাপের গল্প থাকে, থাকতে হয়। আর এই গল্প গুলো কিন্তু সময়-অসময় বিবেচনা না করে হঠাৎ করেই এসে মনে হানা দেয়। আর নিমিষেই কালো মেঘে ছেয়ে যায় হৃদয়ের নীলাকাশ। কোন কারণ বা অন্য কিছুর পরোয়া করে না এই মন খারাপের অনুভূতি। তখন শুধু মন একটা কথাই বোঝে, মন ভালো নেই...।

"বাবা তোমার প্রতি আমার অনেক অভীমান, অনেক বেশি অভীমান...।। হয়তো বলা হবে না কোন দিন...।।"

বছরের শেষ..!!! অনেকে অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে ব্যাস্ত। কেউ নতুন বছর কিভাবে Celebrate – করবে সেটা নিয়ে ব্যাস্ত, কেউ বা কৈ কৈ ঘুরতে যাবে সেটা নিয়ে আবার কেউবা ভাবতে ব্যাকুল বছরের শেষে পাওয়া না পাওয়ার জিনিস গুলো, কি পেলো কি হারলো, কিভাবে বছরটি অতিভবাহিত হলো।
আমিও ভাবতে বসেছি কি পেলাম, কি হারালাম, কিবা দিয়ে গেলাম, কিবা নিয়ে গেলাম...??
পাওয়ার কোন অভাব ছিল না, অনেক কিছুই পেয়েছি। এক সমূদ্র কষ্ট, মিথ্যার ফুলঝুরি, বিশ্বাস ভাঙ্গার কিছু অসাধারাণ গল্প, অসাধারণ নাটক, নিখুঁত কিছু অভিনয়, বিশ্বাস ঘাতকতার এক পাহাড়। এগুলো কি পাওয়া নয়...!!!??? অনেক বেশি কিছু পাওয়া।।

বছরের শুরু থেকে শেষ পযন্ত কিভাবে কাটালাম, কিভাবে অতিবাহিত হলো সেটা বুঝতেই একটু হিমসিম খাচ্ছি। সবচেয়ে স্মরনীয় বছর এটি। এবছরের প্রতিটা দিনের কথা আমার মনে থাকবে, প্রতিটা মুহূর্তের কথা মনে থাকবে। এতো বেশি কিছু হারাবো তা ভাবিনি, এতো বেশি কষ্ট পাবো সেটা সপ্নেও হয়তো কল্পনা করিনি। এতো কিছু হারানোর পরও কিভাবে যেন স্থির আছি, কিভাবে যেন বেঁচে আছি। আমার এই স্থিরতা আমাকে যে কতোটা নিজের মাঝে আবদ্ধ করে ফেলেছে, আমার এই বেঁচে থাকাটা যে কতোটা মৃত্যুর যন্ত্রণা মূলক তা শুধু আমি জানি।

বছরের শেষটা ছিল আরো বেদনাদায়ক, কষ্টের। এরকম ভাবে বছর শেষ করতে হবে টা ভাবি নি। এতো আপন বিস্বস্ত মানুষ গুলো এতো নিপুণ ভাবে বিশ্বাসের মর্যাদা বিশ্বাস ঘাতকতা দিয়ে দিয়েছে সেগুলো অপলক দৃষ্টিতে দেখতে হলো। কিছুই বলার ছিল না, শুধু মনে হচ্ছিল আমি কি জীবিত নাকি মৃত। তবে কি এগুলো শুনার জন্যেই বেঁচে ছিলাম…!!?? এমন বাঁচাতো আমি চাইনি।। অনেক বেশি Unexpected- ছিল, যা ভাবনার বাহিরে…।।

তবু এই মানুষ গুলোকেই আমার মনে থাকবে। অনেক স্মৃতি, অনেক ভাললাগার সময় ছিল সে গুলোকে কোন ভাবেই বাদ দেওয়া, ভুলে যাওয়া সম্ভব না। হয়তো আর কখনো অনেক কিছুই ঘটবে না, অনেক কিছুই করা হবে না, জীবন থেকে অনেক মূল্যবান কিছু জিনিস হারিয়ে ফেলেছি, হারিয়ে ফেলিনি। হারিয়ে গেছে…
নতুন বছর কিভাবে শুরু করবো জানি না। তবে এটা জানি আমাকে বদলাতে হবে, বদলাতেই হবে…।
আমি কখনোই বদলাতে চাই নি, বদলে যাওয়া অনেক কষ্টের। সব সময়ই বলতাম – “আমি কখনো বদলাবো না, আর যদি ভুল করেও একবার বদলাই তাহলে আমার অস্তিত্বও কেউ খুঁজে পাবে না।” আজ কাছের মানুষ গুলোই আমাকে বদলাতে বাধ্য করলো।।

নতুন বছর নিজের জন্য কিছুই চাওয়ার নেই। দোয়া করি আমার কাছের মানুষ, আপন সেই মানুষ গুলো অনেক ভালো থাকুক, তাদের Life- অনেক সুন্দর, আনন্দময়, সুখময় হোক।। শুধু তাঁরা না, তাদের আশেপাশের মানুষ গুলোও যেন তাদের সংস্পর্শে সুখি থাকে, সুখি হয়…

আল্লাহ্-র কাছে একটাই প্রাথনা সবাইকে সুখে রেখো, ভালো রেখো, সবার মনের আশা পূর্ণ করো।।
ভালো কাটুক সবার New Year, শুরু হোক নতুন একটা জীবন, নতুন বছর, নতুন একটা সময়।।
সবার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা, অনেক শুভেচ্ছা।  
                                            “HAPPY NEW YEAR-2016”



 সবার কাছে ঈদ জিনিসটা যেমন আমার কাছে তেমন না। অন্যান্য দিনের চেয়ে এই দিনটা একটু বেশিই খারাপ যায়, একটু বেশিই একা একা থাকতে হয় সেই ছোট বেলা থেকেই...।। সবার কাছে স্কুল, কোচিং, কলেজ, ভারসিটি বন্ধ হলে খুশি রাখার জায়গা পায় না, অথচ আমার দিক ঠিক তার উল্টো ...আমি ভাবি এই বন্ধের সময় টুকু একা একা কিভাবে কাটাবো... স্কুল, কোচিং, কলেজ খোলা থাকলে তাও ক্লাস করে সময় কেটে যায় কোন একভাবে কিন্তু বন্ধের সময় টুকু যেন যেতেই চায় না...
বিগত ৫ বছর প্রায় সব ঈদে বেশির ভাগ সময় টুকু ঘুমিয়ে, শুয়ে থেকেই কাটিয়েছি ...সবাই যখন বন্ধু, ভাই-বোন, বাবা-মা_র সাথে বেড়াতে ব্যাস্ত আমি তখন বদ্ধ রুমে একা একা বসে থেকেছি...আজ থেকে ৫-৬ বছর আগেও এমনি কেটেছে, তার আগেও এমনি কেটেছে, সারা দিন বাসায় একা একা । একাকিত্ব যেন আমায় ঘিরে ধরেছে...
এটাই হয়তো আমার জীবন, হয়তো এটাই আমার জন্য Perfect   ...
আজও সেই ঈদ এর দিন, মানে সারা দিন ঘুম পেড়ে আর শুয়ে কাটানোর দিন...।। ছোট বেলা থেকে একা একা থাকতে থাকতে এখন অনেকটা অভ্যাস হয়ে গেছে, তবু কেন যেন মনের এক কোনায় কিছু আশা রয়েই যায়...
এখন তেমন একটা খারাপ লাগে না, খারাপ লাগলেও কাউকে বুঝতে দেই না, কারো বুঝার ক্ষমতাও নেই, বুঝার মতোও কেউ নেই, কেউ কখন ছিলও না ...
খুব প্রিয় কিছু ইচ্ছে গুলো  আসতে আসতে মরে যায়, মরে যায় আশা গুলো, চাওয়া গুলো।
।।........................................................................।।
আমার ঈদ যেমনি কাটুক আপনাদের সবার ঈদ ভালো কাটুক এই কামনায় শুভ হোক আপনাদের ঈদ এর দিন...
***ঈদ মোবারাক***

ঈদে মেহেদি দিয়ে নারীর হাত রাঙানোর রীতি দীর্ঘ দিনের। ছেলেরাও মেহেদী দেয় কিন্তু খুব কম। তাই ঈদ এলে মেহেদি পরার তোড়জোড় পড়ে যায়। দুই হাত ভরে মেহেদি পরে নিজেকে আরেকটু রঙিন করতে তো সবাই চায়। মেহেদির টিউব দিয়ে অনায়াসে করে নেওয়া যায় মনের মতো নকশা। হাতের পাশাপাশি পা কিংবা বাজুও রাঙিয়ে নেয় অনেকে মেহেদির রঙিন ছোঁয়ায়।
তবে আমার পছন্দের দিক থেকে পায়ের চেয়ে হাতে মেহেদী দেওয়া টাই বেশি ভাললাগে। দু' হাত ভতি করে মেহেদী দেওয়া সে এক অসাধারন অনুভুতি। মেহেদী ছাড়া হাত কেমন যেন খালি খালি লাগে আর সেটা যদি হয় কোন উৎসবে তাহলে তো কথাই নেই, মেহেদী ছাড়া চলেই না। কিন্তু আমার এই এতো পছন্দের জিনিসটাই আমার দেওয়া হয় না। সত্যি বলতে মেহেদী আমার অনেক পছন্দের আর মেহেদী মাখা হাত...উফফফ কি যে ভালো লাগে তা বলে বুঝানোর মতো না। ইচ্ছা করলেই দেওয়া যায় কিন্তু ঐ যে লজ্জা, কেমন যেন একটা সঙ্কজ কাজ করে। হাজার হলেও তো ছেলে মানুষ।ছেলেদের নাকি ওতো আল্লাদ মানায় না।
তার পরো দিতাম কিন্তু মেহেদী দিয়ে দিবে কে...?? আমি তো মেহেদী দিতে পারি না।আর আমি নিশ্চিত, আমি নিজে নিজে যদি মেহেদী দিতে বসি তাহলে হাত সম্পুণ মেহেদী দিয়ে ভতি হয়ে যাবে কিন্তু কোন নকশা হবে না। ভাবা যায় তখন কেমন দেখাবে...!!! আমার তো ভাবতেই হাসি পাইতেছে।
কারো কাছে গিয়ে যে বলবো আমাকে একটু মেহেদী দিয়ে দিতে তাও পারি না, যদি না করে দেয়। ইচ্ছা করে কি আর কেউ আমাকে মেহেদী দিয়ে দিবে...??? আমার মেহেদী কোন দিন-ই দেওয়া হবে না।
আমার কথা বাদ দিন, সামনেই ঈদ, তাই মেহেদি দিতে ভুলবেন না। মেহেদীর সাথে হাতকে রাঙ্গান নতুন রং-এ, নতুন আমেজে।



'কাটে না সময় যখন আর কিছুতে/বন্ধুর টেলিফোনে মন বসে না/জানলার গ্রিলটাতে ঠেকাই মাথা/মনে হয় বাবার মতো কেউ বলে না/ আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়...।' হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ও শ্রাবন্তী মজুমদারের গাওয়া এই গানটি সন্তানদের এক অসীম নস্টালজিয়ায় ডুবিয়ে দেয়। বাবা, সন্তানের মাথার ওপর যার স্নেহচ্ছায়া বটবৃক্ষের মতো, সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় তাকে, আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা। আর বাবার তুলনা বাবা নিজেই। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। আজ বিশ্ব বাবা দিবস। সারা বিশ্বের সন্তানেরা পালন করবেন এই দিবসটি।
দিবস দিয়ে কখন ভালবাসা প্রকাশ করা যায় না, ভালবাসা প্রতি দিনের, প্রতি মুহুতের। এটা কনো দিন বা ক্ষন বেধে হয় না। ভালবাসার জন্য আমি কোন দিবস মানি না।
অনেক বারই চেষ্টা করেছি, দু’চার লাইন যে লিখিনি তাও নয়। কিন্তু সব থেকে বেশী ভালোবাসার মানুষদের জন্য লিখতে বসার অবসর এর অভাব যতটা তার থেকে অনেক বেশী অভাব হয় সাহসের। হ্যাঁ, আমার হাত কাঁপতে শুরু করে, আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে চোখ ছলছল করে ওঠে, অকারণেই অশ্রু জমে চোখের কোনে। আর কোন কারণেই এভাবে অকারণ কাঁদতে পারি না আমি, কাঁদি না। কিন্তু তোমার কথা ভাবতে গেলে, তোমার বিষয়ে লিখতে গেলে, কিছু বলতে গেলে, আর পারিনা। সব এলোমেলো হয়ে যায়। তবু তোমাকে কিছু কথা আমার বলতেই হবে। সে কথা গুলো যা কোনদিন তোমাকে বলতে পারিনি। হয়তো আজও বলতে পারবো না। হয়তো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে কোন দিন বলা হবে না। কিন্তু অনেক ইচ্ছা ছিল বলার...।।
আমার মনে পড়েনা, কোন দিন বলেছি কিনা- "তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা" । আজ বলছি- "তোমাকে অনেক ভালোবাসি বাবা, অনেক"।
অনেক কথাই ছিল বলার, অনেক কিছুই ছিল লিখার। কিছুই বলতে পারলাম না, কিছুই লিখতে পারলাম না।
বাবা তোমার প্রতি আমার অনেক অভীমান, অনেক বেশি অভীমান...।। হয়তো বলা হবে না কোন দিন...।।

কোনো কাজ করার আগে চিন্তা করে নিয়ে কাজে হাত দেয়া অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু যদি আপনি পুরো সময় চিন্তার পেছনেই কাটিয়ে দেন তাহলে তা কি খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে? সেটাও নয়। তাই চিন্তা করারও নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। চিন্তা করে কাজ করা যেমন ভালো তেমনই অতিরিক্ত চিন্তা করাও ডেকে আনতে বিপদ। ভাবছেন কি করে? ভাবুন তো আপনার হাতে দারুণ একটি সুযোগ এসেছে যার সাথে ঝুঁকিও রয়েছে অনেক। ঝুঁকির কারণে আপনি চিন্তা করতে বসে গেলেন আর সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলো। এবার বলুন, আপনি কি করতে পারবেন। এরকমই অনেক ভাবে অতিরিক্ত চিন্তা করার ফলে জীবনে আপনিই ডেকে নিয়ে আসছেন বিপদ।

১) মানুষ কি বলবে তা নিয়ে চিন্তা:
আমরা সামাজিক জীব, আমাদের সমাজেই থাকতে হয়। আর সে কারনে কিছুটা হলেও চিন্তা করতে হয় সমাজ সংসার নিয়ে। কিন্তু তা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে আপনার বিফলতার দায়ভারও আপনারই থাকবে। কারন আপনার অতিরিক্ত অযথা চিন্তা আপনাকে সামনে এগুতে বাধাই দিতে থাকবে। অতিরিক্ত ভাব বেন না, কারন আপনি বিফল হলে এই সমাজের মানুষ আপনাকেই কথা শোনাবে।

২) ভবিষ্যতের অতিরিক্ত চিন্তা:
ভবিষ্যত নিয়ে আগে ভাগেই চিন্তা ভাবনা করা ভালো একটি কাজ। কিন্তু এই চিন্তা যদি আপনার বর্তমানের উপর প্রভাব ফেলে এবং আপনার ভবিষ্যত নষ্ট করতে থাকে তাহলে তা আপনার জন্য বিপদজনকই বটে। কি হবে ভবিষ্যতে তা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করে ভবিষ্যতটা উজ্জ্বল করতে বর্তমানে নজর দিন।

৩) জীবনের সুখ দু:খ নিয়ে চিন্তা:
জীবন টা সুখ দু:খ নিয়েই গঠিত, এই বিষয়টি যত দ্রুত মেনে নেয়া যায় ততই ভালো। তা না হলে জীবনে কতোটা সুখ পেলেন তা নিয়ে হিসেব কষতে গিয়ে চিন্তা করেই জীবন পার করে দিতে পারবেন। তাই অতিরিক্ত চিন্তা করে কিছুই পাবেন না আপনি বিফলতা ও দুঃখ ছাড়া।

MARI themes

Powered by Blogger.