তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
বাসি ভালো তোমার যা সব কিছু,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
মিশে যেতে চাই তোমার কোমল হাত ধরে,
দূর দিগন্তে চিরতরে কোন এক সবুজ ছায়া ঘেরা পথ ধরে।

তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
বাসি ভালো শুধুই তোমাকে,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
কেবলি তোমাকে চাই- চাই তোমার হৃদয় ও মন
চাই কিছু মিষ্টি আলাপন, হৃদয়ে হৃদয়ের আবেগে।

তোমাকে ভালোবাসি তাই- বাসি ভালো তোমারই নয়ন,
নয়নে নয়নে আলাপন,
সেথায় রয়েছে মনের মিলন।
তোমাকে ভালোবাসি তাই- সেথায় দেখতে পাই-
                                                                                 নিজেকে । 

তোমাকে ভালোবাসি তাই- বাসি ভালো তোমার রাঙা ঠোঁট,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
সেই ঠোঁটে এঁকে দিতে চাই- ভালবাসার চিহ্ন,
সঙ্কীর্ণ আলোকিত ওলোট-পালোট মন।

তোমাকে ভালোবাসি তাই- বাসি ভালো বিনয় তোমার,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
তোমার উড়ন্ত খোলা চুল কেড়ে নেয় মন,
সারাক্ষণ শুধু "তুমি" হৃদয়ে আমার।

তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
বাসি ভালো আমি তোমার পায়ের ঐ পায়েল,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
কোন এক পড়ন্ত বিকেলে নিজ হাতে পড়াতে চাই ঐ রাঙা পায় পায়েল খানি...। 

তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
তোমার হাতে কাঁচের চুড়ি আলতো করে পড়িয়ে নিতে চাই,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- তোমার পায়ের নুপুরের রিনিঝিনি শব্দে-
এ হৃদয়ের গভীরে বাজে সর্বদাই।

তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
বাসি ভালো তোমার অশ্রুজল,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
মুছে দিতে চাই আঙ্গুলি স্পর্শে- পরম আবেগে,
অশ্রু তোমার চোখের- টলোমল।

তোমাকে ভালোবাসি তাই- 
বাসি ভালো তোমার ভিজে দুটি পা,
তোমাকে ভালোবাসি তাই- বর্ষাস্নাত দিনে তোমাকে চাই,
কিংবা কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে তুমি - আমি আর কুয়াশা,
তারপর কুয়াশা ভেজা ঘাসে খালি পায়ে কিছুটা পথ হাটা।

তোমাকে ভালোবাসি তাই-  
তোমায় ভালোবাসি হাজার বার, হাজার ভাবে। 
তোমাকে ভালোবাসি তাই- আমি মনে আগুন জ্বালাই বারবার,
আমি এক মনে লিখি কবিতা- 
আমি কবি; কেবলি তোমার কবি।
ভালোবাসি তাই তোমায় ভালোবেসে যাই।

প্রেমে ঝগড়া থাকবেই। জ্ঞানীরা বলেন- ঝগড়া ছাড়া প্রেম আর মশলা ছাড়া তরকারী সমান কথা। বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় বড় ঝগড়া হয়ে যায় প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে। মনের মানুষের সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া করার কিছুক্ষণ পরে যখন মন কেমন কেমন করে, অথবা সেই মনের মানুষ রেগেমেগে ফোন সুইচ অফ করার পরে নিজেই যখন আবার ফোন করেন, ঠিক তখনই ঝগড়া-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জিতে যায় ভালোবাসা। এতো ঝগড়ার পর মনের সাথে যুদধ করে যখন হেরে গিয়ে তার কথাই মনে পরে, তার কাছে যেতে ইচ্ছে করে তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন তাকে আপনি কতোটা ভালবাসেন। ছোট্ট এই বিষয়টি বুঝতে কোনও মনোবিদের প্রয়োজন নেই। যে কোনও অনুভূতিশীল মানুষ,  সিরিয়াস সম্পর্কে রয়েছেন এমন কেউ যদি হন তবে তিনি নিজেকে দিয়েই সেটা বুঝতে পারবেন এবং পারা উচিত।

‘গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি সমীক্ষার ফলাফল বলছে, যে সমস্ত দম্পতি বা যুগলরা ঝগড়া করেন বা বেশি বেশি অভিমান করেন, তাঁরাই সম্পর্কের দিক থেকে অনেক বেশি সুখী তুলনা মূলক ভাবে তাঁদের থেকে যাঁরা সচরাচর সমস্ত মতান্তর-মনান্তর, মনের ভাব ঝুলিতে লুকিয়ে রাখেন। এই সংক্রান্ত একাধিক মার্কিনি গবেষণার ফলাফলও তাই বলছে। 

দম্পতিদের বা যুগলদের সবচেয়ে বড় ভুল হল কোন কিছু এড়িয়ে যাওয়া। আমরা ভাবি কিন্তু মুখে বলি না, অন্তত যতক্ষণ না গোটা ব্যাপারটা অসহ্য হয়ে ওঠে, ততক্ষণ পর্যন্ত না। আমরা আসলে এই সব কথোপকথন গুলো এড়িয়ে যাই এটা ভেবে যে বললে অনেক কিছু হতে পারে। কিন্তু আমরা এটা বুঝি না যে না বললেও অনেক কিছু হতে পারে। মনের কথা চেপে রাখলে যেটা হবে নিজের মাঝে শুধু শুধু একটা তিক্ততা জমা হবে, আস্তে আস্তে তা বিষাক্ততায় পরিণত হবে। তখন আর বিশ ঝেড়ে ফেলা সম্ভব হবে না। 

আসলে সম্পর্কে ঝগড়া যত বেশি, তত বেশি উষ্ণ সেই সম্পর্ক। পরস্পরের কাজ নিয়ে, ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলা, তার সমালোচনা করা অথবা অভিমান করা এই সব কিছুই সম্পর্ককে উজ্জীবিত রাখে।ঝগড়া কখনো ভালোবাসা কে শেষ করতে পারে না বরং ভালোবাসাকে ভালো বাসতে শেখায়।

MARI themes

Powered by Blogger.