ডিপ্রেশন নাকি মন খারাপ, এটা আমাদের অনেকের কাছেই একটা বড় ধাঁধা। অনেকসময়ই আমরা বুঝে উঠতে পারিনা আমাদের মনের আসল অসুখটা ঠিক কী? রেজাল্ট খারাপ বা খেলতে গিয়ে ম্যাচ হেরে যাওয়ার দুঃখ কিন্তু ডিপ্রেশন নয়। বহুদিন ধরে পারিপার্শিক অনেক কঠিন অবস্থার সঙ্গে ঝুলতে ঝুলতে, নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা অনেকেই। আর এখান থেকেই শুরু হয় যাবতীয় সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অতীতের অনেক না পাওয়া বা হেরে যাওয়া বা আশানুরূপ ভবিষ্যৎ সামনে ধরা দিবে কিনা এই চিন্তা গুলোই আমাদের ডিপ্রেশনের জন্য অনেকাংশে দায়ী। আর এই দৈনন্দিন সমস্যা গুলি আমাদের মাঝে একটু একটু করে জমতে থাকে, জমতে জমতে একটা সময় ঘোরের মধ্যে চলে যাই; যেখান থেকে আর কাটিয়ে উঠতে পারি না।
ডিপ্রেশন নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রতিটা মানুষ কোন না কোন এক জায়গায় অসম্পূর্ণ, যেখান থেকেই ডিপ্রেশন এর জন্ম।যার হয়তো টাকা নেই তার টাকার জন্য, যার টাকা আছে কিন্তু মনের সুখ নেই, তার মনের সুখের জন্য। যার বাবা - মা নেই তার বাবা মায়ের জন্য, আবার যার বিয়ের ১৫/২০ বছরেও সন্তান হয়নি তার সন্তানের জন্য। বেকার ছেলেটির চাকরির জন্য, কখনো বা নিজের প্রিয়তমার বিয়ে হয়ে যাবে নিজের যোগ্যতার কমতির জন্য। বিয়ে উপযুক্ত মেয়েটির ভালো একটা চাকরী কিংবা ভালো একজন স্বামীর জন্য। আবার একই ছাদের নিচে বছরের পর বছর বাস করে কেউ কাউকে না বোঝার জন্য, কখনো বা পরিবারের কাছে থেকেও মনে হওয়া হাজার মাইল দূরে।
ডিপ্রেশন নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রতিটা মানুষ কোন না কোন এক জায়গায় অসম্পূর্ণ, যেখান থেকেই ডিপ্রেশন এর জন্ম।যার হয়তো টাকা নেই তার টাকার জন্য, যার টাকা আছে কিন্তু মনের সুখ নেই, তার মনের সুখের জন্য। যার বাবা - মা নেই তার বাবা মায়ের জন্য, আবার যার বিয়ের ১৫/২০ বছরেও সন্তান হয়নি তার সন্তানের জন্য। বেকার ছেলেটির চাকরির জন্য, কখনো বা নিজের প্রিয়তমার বিয়ে হয়ে যাবে নিজের যোগ্যতার কমতির জন্য। বিয়ে উপযুক্ত মেয়েটির ভালো একটা চাকরী কিংবা ভালো একজন স্বামীর জন্য। আবার একই ছাদের নিচে বছরের পর বছর বাস করে কেউ কাউকে না বোঝার জন্য, কখনো বা পরিবারের কাছে থেকেও মনে হওয়া হাজার মাইল দূরে।
ডিপ্রেশন কখনো এক প্রকারের হয় না, যার যেটা নেই তার সেটার জন্যই ডিপ্রেশন! প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ের তাল মেলাতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকেই হাঁফিয়ে উঠি একটা সময়ের পর। আমাদের পারিপার্শিক সমাজ যত আধুনিক হচ্ছে, প্রতিযোগিতাও ততই বাড়চ্ছে এবং পাল্লা দিয়ে বাড়চ্ছে আমাদের মানসিক সমস্যা গুলিও, এবং বেড়েও যাচ্ছে।
শুধুমাত্র ভালোবেসে হারিয়ে ফেললেই ডিপ্রেশন হয়না। কোন একটা ছেলে বা মেয়ে মানসিক যন্ত্রণার মাঝ দিয়ে যাচ্ছে, স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ধরে নেই, ছেলেটি কিংবা মেয়েটি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ডিপ্রেশনে আছে। এটা ঠিক প্রকারভেদে হয়তো এইটা বেশি হয়ে থাকে তার মানে এই নয় সবাইকে একই পাল্লায় মাপতে হবে! শুধুমাত্র প্রেমের জন্য নয় অনেক কারণেই মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগে।
আমি নিজের কথা বলতে পারি,ব্যক্তি জীবনে আল্লাহ্ আমাকে সব দিয়েছেন, কোনকিছুর অভাব রাখেন নাই। ভালো জীবন বলতে যা যা কিছু লাগে সবকিছুই আমি পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার কোন কিছুর অভাব না থাকাটাও হয়তো একটা অসম্পূর্ণতা। শুনতে হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে কিছু একটার অভাব যে রয়েছে সেটা খুব করেই অনুভব করি, যে অভাবটা অপূরণীয়। অভাবটা ভালোবাসার নয়তো...!? হতে পারে...
আমার মাঝে অকারণ মন খারাপের অভ্যাস আছে।আমি মাঝে মাঝে অকারণেই একা হয়ে যাই! সবকিছু থেকে তখন একা আড়ালে থাকতে ভালো লাগে।যেকোন আয়োজন, হৈচৈ, বেশি মানুষের আনাগোনা বিরক্ত লাগে। কারণ, এই সময় টা আমি নিজের মত করেই কাটাতে ভালোবাসি, তার জন্য একা থাকাটা তখন জরুরী হয়ে পড়ে।খুব যারা আপন, যাদের ছাড়া আমার চলেই না শুধু তাদের সাথেই কথা বলি, তবুও খুব কম। আমি জানি আমাকে যারা ভালোবাসে, তারা জানে আমি কেমন। তারা কখনো প্রশ্ন তুলেনা আমি কেন এমন হয়ে যাই। কারণ, তারা জানে আমি সময়টাকে নিজেই রিকোভার করতে পারবো। আর আবার আগের মতই হয়ে যাবো।তারজন্য আমার একটু সময়ের প্রয়োজন। যাই বলি না কেন, সত্যিকারের হাবুডুবু খাচ্ছি প্রতিমুহূর্তের আশঙ্কায়। নিজেকে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা আমাকে দিনে দিনে আরো বেশি গ্রাস করে নিচ্ছে। ছোট্ট ছোট্ট তথ্য অথবা প্রয়োজনীয় কাজের কথা ভুলে যাচ্ছি। আমি প্রয়োজনীয় কথা বলা ও ভুলে যাচ্ছি। এটা কি ডিপ্রেশন ...!!! খুব কাছের মানুষ আমাকে দেখে ভাবে আমাকে কি যেন পাথর থেকে আরো পাথর এর মতো নির্লিপ্ত করে তুলছে। নিজেকে অসুস্থ মনে হয়, কিন্তু ডাক্তার পর্যন্ত দৌড়ানোর আগ্রহ নেই।
শুধু একটাই ব্যাপার, এই সময়টা একজন প্রিয় মানুষের উপস্থিতি লাগে, যে সময়ে অসময়ে পাশে থাকবে। মানসিক সাপোর্ট দিবে, পরিস্থিতি বুঝতে চেষ্টা করবে।প্রতিটা মিনিট, ঘন্টা আমার কেয়ার নিতে ব্যস্ত থাকবে। সে কখনো আমায় ভুল বোঝবে না অহেতুক এই হঠাৎ মন খারাপের জন্য প্রশ্ন তুলবে না। মন খারাপের সময় বারবার মন খারাপের কারন জানতে চেয়ে আরও মন ভারী করে দিবে না। বরং আমার সময়টাকে রিকোভার করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে। বাস্তবতা ভিন্ন, বাস্তবতা কল্পনার মতো নয়। বাস্তবতা কঠিন, আমি কঠিনেরে ভালোবাসিলাম...
Post a Comment