ভালোবাসার প্রাণ ভালো-Career

ভালোবাসা হঠাৎ করে হলেও ভালোবাসার পর সব কিছু হুট করে হয়ে উঠে না। শুরুর দিকে সব কিছু মধুর মতো লাগলেও আসতে আসতে সেটা তিক্ততায় পরিণত হয় নিজেদের কিছু ভুলের কারণে। আমরা কেউই সম্পর্কের মাঝে তিক্ততা চাই না কিন্তু তিক্ততা চলেই আসে। আর এই তিক্ততা আসে একে অপরকে ভুল বুঝার কারণে, বুঝতে না পারার কারনে। আমরা ভালোবাসি ঠিকই কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে একটুও বুঝার চেষ্টা করি কি...?  তিক্ততা এখান থেকেই শুরু হয়, আসতে আসতে তিক্ততা বাড়তে বাড়তে সম্পর্কের বিচ্ছেদর দিকে চলে যায় কিন্তু আমরা কখনোই চাই না কোন সম্পর্কের বিচ্ছেদ হোক। আমরা অনেক কিছুই চাই না কিন্তু সেটাই ঘটে যায়।

সম্পর্কের আগে এবং সম্পর্কের পরের সময়টা অনেক বেশি পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন, মেয়েটা কেমন সেটা সম্পর্কের আগে খুব ভালোভাবেই জানা থাকে। সে কি করতে পছন্দ করে, কি অপছন্দ করে, তার খারাপ অভ্যাস গুলো কি কি, তার চলাফেরা কেমন আরো অনেক কিছু কিন্তু সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর এগুলো নিয়েই বেশি ঝামেলা হয়। যেখানে মানুষটি কেমন সেটা জেনেই ভালোবাসেন সেখানে সম্পর্ক হয়ে যাওয়ার পর তার এসকল বিষয়ে কথা বলাটা কেমন হয়ে যায় না...? এই বিষয় গুলো একটা মেয়ের চেয়ে একটা ছেলে বেশি Face-করে। একটা ছেলে হয়তো তার চলাফেলা তার ভালোবাসার মানুষের কথায় বদলিয়ে নিতে পারে কিন্তু ধাক্কা টা খায় অন্য জায়গায়। মেয়েটা সমবয়সী হোক আর বয়সে ছোট হোক সে যাই হোক মেয়েটা কিন্তু ছেলেটার বর্তমান অবস্থা জেনেই ভালোবাসায় জড়ায় কিন্তু দু'দিন যেতে না যেতেই কথার সুর ঠিকই পাল্টায়। ছেলেটার Career- নিয়ে কথা বলে না এরকম মেয়ের সংখ্যা নাই বললেই চলে। আমি বলছি না Career- নিয়ে কথা কেন বলে, Career- নিয়ে কথা অবশ্যই বলা উচিত & এটা বলার Right-তার আছে। কারন, Career- উপর নির্ভর করে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ। 

তুমি Career- নিয়ে ভাবচ্ছো না, তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, আমাকে নিয়ে তোমার কোন চিন্তা নেই, এভাবে আর কত দিন, Job-এর জন্য try- করচ্ছো না কেন, ভালো Job- এর জন্য কেন Preparation-নিচ্ছো না; এরকম আরো অনেক কথা শুনতে হয়। আচ্ছা একটা ছেলে কি বেকার ভাবে বসে থাকতে চায়...? হয়তো সে Better- কিছুর জন্য try-করে কিন্তু সেটা হয়ে উঠচ্ছে না এই মুহূর্তে বা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। আজ বললে কাল ই তো সে কোন Company-এর CEO হয়ে যেতে পারবে না তাই না ? Actually- আমি বলতে চাচ্ছি Career- নিয়ে একটা মেয়ে যে ভাবে কথা বলে সেটা একটা ছেলে কখনোই মেনে নিতে পারে না। এই সময়টিতে ছেলেটার Inspiration, Motivation, Support - খুব বেশি দরকার হয়। কারন, একটা ছেলে যখন সমবয়সী কাউকে ভালোবাসে তখন তার ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয়ে থাকে শুধু তার Career-এর জন্য। সে এমনিতেই খুব বেশি Tension, Depression-এ ভোগে। একটা মেয়ে যে ভাবে Career- নিয়ে ব্যাঙ্গ করে কথা বলে তাতে ছেলেটা Inspired-না হয়ে আরও বেশি Depression-এ ভোগে Frustration-এর মাঝে দিন কাটায় Demotivated- হয়ে যায়। আচ্ছা আপনি যখন তার Career-নিয়ে কথা বলেন একবারও কি তার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? একবারও কি দেখার চেষ্টা করেছেন আপনার এই কথায় তার ভিতরটা কতোটা কষ্টে কাতর হয়ে যায়, একবারও কি দেখতে পেরেছেন তার চোখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে পাওয়ার জন্য সে কতোটা Effort- দিচ্ছে, কিভাবে Career-এর পিছনে ছুটে বেড়াছে। যেখানে হয়তো এই সময়টিতে Career-নিয়ে তার ভাবার কথাই না। হয়তো আপনার চোখে এগুলো পড়ে না বা আপনি এগুলোকে কিছুই মনে করেন না। আপনার জন্য তার Effort-যদি আপনার চোখে না পড়ে তাহলে আপনি তাকে কতোটা ভালোবাসেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই হয়...।

কয়টা মেয়ে আছে যে এই কথা গুলোকেই Positive way-তে, একটু ভালোবেসে Support-দিয়ে বলতে পারে...? হাজারে একটা পাওয়া যাবে না। আপনি জানেন কি একটা ছেলে পরিবারের কাছ থেকেও বেশি তার ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে Positive-কথা শুনে, Support-পেয়ে Inspired-হয়...? কিন্তু এই কাজটা কোন প্রেমিকাই করে না। দেখা যায় এমন কিছু Negative-কথা বলে যা Demotivate-করে দেয়। আমার দেখা অনেক প্রেমিক যুগল এর মাঝে Only-একটা মেয়েকে দেখেছিলাম যে তার প্রেমিক কে Support- দিতো যেখানে ভাইয়া বেকার ছিল, অপর পাশে আপুটা Job-করতো। ভাইয়ার Job- হচ্ছিল না কিন্তু আপুটা যেভাবে Support-দিত সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।  খুব কম মেয়েই এই কাজটি করতে পারে। 

একটা ছেলের যখন Support-প্রয়োজন ঐ সময়টিতে তার ভালোবাসার মানুষের মতো Support- আর কেউই দিতে পারে না। সফল একজন মানুষ হওয়ার জন্য পরিবারের ভূমিকা অনেক, কিন্তু আমি মনে করি পরিবারের চেয়ে প্রিয়জন, ভালোবাসার মানুষ বেশি Support- দিতে পারে সফল হওয়ার জন্য। যারা এই Support- পায় এদের মতো ভাগ্যবান আর কেউই নেই।