আবেগী মন

আবেগী মানুষের হৃদয়েই কষ্টে ভর করে বেশি। এরা মানুষকে খুব সহজে যতটা আপন করে নেয় তেমনি খুব দ্রুতই আপন মানুষদের কাছেই অবহেলিত হয়। প্রবাদ গুলো খুব বেশি সত্য। মাঝে মাঝে প্রবাদ গুলো খুব ভাবায়-
                                  "পৃথিবীতে কাউকে আপন ভাবা খুব সহজ,
                                      কিন্তু আপন করে পাওয়া খুব কঠিন।"
শরীরের চামড়ায় কোন ছিদ্র থাকলে দেখা যায় কিন্তু হৃদয়ের গভীরের কোন ছিদ্র দেখা যায়না।
একজন আবেগী মানুষের মনটা খুব নরম এই জন্য তাদের হৃদয়ে অন্যে গর্ত খুঁড়ে বসে খুব সহজে। চোখের পানি আর চিৎকার করে কাঁন্নার আওয়াজ সবাই দেখতে পায়, শুনতে পায়, বুঝতে পারে তার অতি যন্ত্রনা। কিন্তু কারো হৃদয়ে ক্ষয়ে যাওয়ার প্রিয় মানুষের দেয়া উপহার হৃদয়ে জমাট হওয়া পানি কেউ দেখতে পায়না, আর যন্ত্রণাময় অনুভূতি কিছু বুঝতেও পারে না।
.
এ ব্যাথা এক অন্য ব্যাথা। শরীরের কোথাও যদি কোন কাঁটা জায়গায় হাত লাগে তাহলে আহত ব্যক্তি চিৎকার করে উঠে কিন্তু হৃদয়ে আঘাত পাওয়া মানুষটির বুকে হাত দিলেও সে আঘাত পাবেনা কিন্তু ভিতরে ঠিকই জ্বলতে থাকবে।
কোন কিছুতে অতি আবেগী বা অতি উৎসাহী হওয়াই জীবনের সব চেয়ে বড় কাল। আজ যাকে ভালবাসবেন, আপন ভাববেন, মনে জায়গা দিবেন সেই কালকে যন্ত্রনার কারণ হবে, সেই কাল আঘাত করবে। পাষান মানুষ ঠিকই মনের আনন্দে রাত না জেগে ঘুমাবে আর আপনি মনে জ্বালা নিয়ে প্রত্যেক দিন - রাতে অনিদ্রায় বালিশ ভিজাবেন। বেশি আবেগী হয়ে কাউকে আপন ভাবতে নেই, মনে জায়গা দিতে নেই। এতে পরে বিবেকহীনদের কাছে সহজেই হেরে যেতে হয়।