বন্ধুত্বের সম্পর্ক খুবই স্পশকাতর আর এ জন্যেই এ সম্পর্কে মান অভীমান, খুনশুটি এগুলো বেশিই থাকে...।। এই অভীমান যেন রাগ- এ পরিনত না হয়, দুরত্ব সৃষ্টি না হয়। দুরত্ব সৃষ্টি হওয়ার আগেই দুরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কারন গুলো খুজে তার সমাধান বের করা উচিৎ।
আর এ জন্য নিচের বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেনঃ
আলোচনা এবং আলোচনা: সম্পর্কের ছন্দপতনে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। বন্ধুর মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাঁর অবস্থান থেকে বোঝার চেষ্টা করুণ এবং গ্রহণ করুন।
নিজের দুর্বলতা স্বীকার: আলোচনার সময় প্রথমেই অন্যের দোষ নিয়ে কথা বলার আগে নিজের দুর্বলতা স্বীকার করে নিন। আপনার উদারতা বন্ধুকে উদার হতে সাহায্য করবে।
অভিযোগ নয়: বন্ধুর সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলে বা কষ্ট পেলে মনের মধ্যে তা পুষে না রেখে সরাসরি তাঁকে জানান। এ ক্ষেত্রে সরাসরি অভিযোগ করা বা হেয় করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখা ভালো, অন্যের আত্মাভিমানে আঘাত দিয়ে কখনোই আপনার কথা অন্যের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না।
আলোচনায় তর্ক নয়: বন্ধুর মতামত গ্রহণযোগ্য না হলে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করে নিজের যুক্তিগুলো তুলে ধরুন। যদি বুঝতে পারেন, কোনো বিষয়ে আপনার বন্ধু অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন, তাহলে সেটা ঘাঁটাঘাঁটি না করে এড়িয়ে যান। আলোচনার সময় ‘আমিই ঠিক’—এমন আচরণ পরিহার করুণ।
আবেগ প্রশমনে সময় নিন: বন্ধুর কোনো কথা বা আচরণে বিরক্ত হলে বা কষ্ট পেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকুন। এ ক্ষেত্রে আপনার রাগ প্রশমিত হওয়ার জন্য সময় নিন।
মনে রাখা উচিত, আবেগের টালমাটাল সময়ে বন্ধুত্বের সমস্যা নিয়ে না ভাবাই ভালো। কারণ, আবেগের প্রাবল্য আমাদের চিন্তার সংকোচন ঘটায়। এ সময় সামান্য জিনিস অনেক বড় করে দেখি বা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এড়িয়ে যাই। ফলে, এটা থেকে হুটকারী সিদ্ধান্তের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আবেগ প্রশমিত হলে আপনি যৌক্তিক চিন্তা করতে পারবেন এবং অনেক পরিষ্কার করে বিষয়টি দেখতে পারবেন।
‘সরি’ বলুন: আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হঠাৎ করে দূরত্ব তৈরি করলে মাথায় রাখতে হবে, হয়তো আপনার অজান্তে তাঁকে কষ্ট দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অভিমান না করে এগিয়ে যান, জানতে চান, প্রয়োজনে ‘সরি’ বলুন। এটাও মাথায় রাখবেন সে ‘সরি’ বলা পছন্দ করে কিনা। যদি পছন্দ না করে তাহলে ‘সরি’ না বলাটাই ভাল।
বন্ধুর এগিয়ে আসা গ্রহণ করুন: দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর আপনার বন্ধু এগিয়ে এলে (যেমন পুনরায় যোগাযোগ করা) সেটা মন খুলে গ্রহণ করুন। এ ক্ষেত্রে জেদ চেপে রাখবেন না বা পুরোনো তর্ক তুলবেন না। কেউ নিজ থেকে আসা মানে সব তর্কের ঊর্ধ্বে আপনার বন্ধুত্বের গুরুত্বই তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি।
অমীমাংসিত বিষয় গ্রহণ করুন: যদিও দুজন ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয় তাঁদের ভাবনা, ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধের কিছু মৌলিক মিল থেকে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বন্ধুর সব বৈশিষ্ট্যই ভালো লাগবে বা সব বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মতামতের মিল হবে। সুতরাং, সব তর্কের সমাধান হতেই হবে—এমন কোনো কথা নেই। যেকোনো ছন্দপতনে বন্ধুত্ব যে মূল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো মূল্যায়ন করুন এবং মনোযোগী হোন।
সব কথার শেষ কথা: বন্ধুত্ব মানে নানা রঙের ভালো লাগা মুহূর্তের এক দারুণ অভিজ্ঞতা। কিন্তু কিছু খারাপ লাগার অভিজ্ঞতাও এ বন্ধুর সঙ্গেই হতে পারে। তবে সেই নেতিবাচক অভিজ্ঞতাকে ‘সামান্য’ করে দেখা বা ক্ষণস্থায়ী করার দায়িত্ব আপনারই। কারণ, দীর্ঘদিনের ‘আহা’র মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া এ বন্ধুর সঙ্গেই সামনের দিন গুলোতে আরও চমৎকার ও উষ্ণ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে আছে।
মনে রাখবেন বন্ধুত্ব সুধু একটা শব্দ না, আত্না্র একটি বন্ধন। এ বন্ধন কে কখনো ভাঙ্গবেন না, এটা ভাঙ্গার জিনিষ না।
আর এ জন্য নিচের বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেনঃ
আলোচনা এবং আলোচনা: সম্পর্কের ছন্দপতনে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। বন্ধুর মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাঁর অবস্থান থেকে বোঝার চেষ্টা করুণ এবং গ্রহণ করুন।
নিজের দুর্বলতা স্বীকার: আলোচনার সময় প্রথমেই অন্যের দোষ নিয়ে কথা বলার আগে নিজের দুর্বলতা স্বীকার করে নিন। আপনার উদারতা বন্ধুকে উদার হতে সাহায্য করবে।
অভিযোগ নয়: বন্ধুর সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতানৈক্য হলে বা কষ্ট পেলে মনের মধ্যে তা পুষে না রেখে সরাসরি তাঁকে জানান। এ ক্ষেত্রে সরাসরি অভিযোগ করা বা হেয় করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখা ভালো, অন্যের আত্মাভিমানে আঘাত দিয়ে কখনোই আপনার কথা অন্যের কাছে পৌঁছাতে পারবেন না।
আলোচনায় তর্ক নয়: বন্ধুর মতামত গ্রহণযোগ্য না হলে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করে নিজের যুক্তিগুলো তুলে ধরুন। যদি বুঝতে পারেন, কোনো বিষয়ে আপনার বন্ধু অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন, তাহলে সেটা ঘাঁটাঘাঁটি না করে এড়িয়ে যান। আলোচনার সময় ‘আমিই ঠিক’—এমন আচরণ পরিহার করুণ।
আবেগ প্রশমনে সময় নিন: বন্ধুর কোনো কথা বা আচরণে বিরক্ত হলে বা কষ্ট পেলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকুন। এ ক্ষেত্রে আপনার রাগ প্রশমিত হওয়ার জন্য সময় নিন।
মনে রাখা উচিত, আবেগের টালমাটাল সময়ে বন্ধুত্বের সমস্যা নিয়ে না ভাবাই ভালো। কারণ, আবেগের প্রাবল্য আমাদের চিন্তার সংকোচন ঘটায়। এ সময় সামান্য জিনিস অনেক বড় করে দেখি বা অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস এড়িয়ে যাই। ফলে, এটা থেকে হুটকারী সিদ্ধান্তের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আবেগ প্রশমিত হলে আপনি যৌক্তিক চিন্তা করতে পারবেন এবং অনেক পরিষ্কার করে বিষয়টি দেখতে পারবেন।
‘সরি’ বলুন: আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু হঠাৎ করে দূরত্ব তৈরি করলে মাথায় রাখতে হবে, হয়তো আপনার অজান্তে তাঁকে কষ্ট দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে অভিমান না করে এগিয়ে যান, জানতে চান, প্রয়োজনে ‘সরি’ বলুন। এটাও মাথায় রাখবেন সে ‘সরি’ বলা পছন্দ করে কিনা। যদি পছন্দ না করে তাহলে ‘সরি’ না বলাটাই ভাল।
বন্ধুর এগিয়ে আসা গ্রহণ করুন: দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর আপনার বন্ধু এগিয়ে এলে (যেমন পুনরায় যোগাযোগ করা) সেটা মন খুলে গ্রহণ করুন। এ ক্ষেত্রে জেদ চেপে রাখবেন না বা পুরোনো তর্ক তুলবেন না। কেউ নিজ থেকে আসা মানে সব তর্কের ঊর্ধ্বে আপনার বন্ধুত্বের গুরুত্বই তাঁর কাছে সবচেয়ে বেশি।
অমীমাংসিত বিষয় গ্রহণ করুন: যদিও দুজন ব্যক্তির মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয় তাঁদের ভাবনা, ব্যক্তিত্ব ও মূল্যবোধের কিছু মৌলিক মিল থেকে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে বন্ধুর সব বৈশিষ্ট্যই ভালো লাগবে বা সব বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মতামতের মিল হবে। সুতরাং, সব তর্কের সমাধান হতেই হবে—এমন কোনো কথা নেই। যেকোনো ছন্দপতনে বন্ধুত্ব যে মূল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলো মূল্যায়ন করুন এবং মনোযোগী হোন।
সব কথার শেষ কথা: বন্ধুত্ব মানে নানা রঙের ভালো লাগা মুহূর্তের এক দারুণ অভিজ্ঞতা। কিন্তু কিছু খারাপ লাগার অভিজ্ঞতাও এ বন্ধুর সঙ্গেই হতে পারে। তবে সেই নেতিবাচক অভিজ্ঞতাকে ‘সামান্য’ করে দেখা বা ক্ষণস্থায়ী করার দায়িত্ব আপনারই। কারণ, দীর্ঘদিনের ‘আহা’র মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া এ বন্ধুর সঙ্গেই সামনের দিন গুলোতে আরও চমৎকার ও উষ্ণ অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে আছে।
মনে রাখবেন বন্ধুত্ব সুধু একটা শব্দ না, আত্না্র একটি বন্ধন। এ বন্ধন কে কখনো ভাঙ্গবেন না, এটা ভাঙ্গার জিনিষ না।
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete